জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ- নিরেন দাস
জয়পুরহাট পৌর শহরের রূপনগর এলাকার বাড়ির মালিক শেফালি বেওয়া (৬৫) কে হত্যার অভিযোগে ঝর্ণা আক্তার নিলা (২১) নামে এক ভাড়াটিয়া কে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকালে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ঝর্না আক্তার নিলা কুমিল্লার মুরাদনগর পরমতলা গ্রামের মুনসুর খাঁনের মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট পৌর শহরের রূপনগর এলাকায় শেফালি বেওয়া একা বসবাস করতেন। সেই বাসায় ঝর্না আক্তার ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন।
সম্প্রতি সূত্রে জানাগেছে, ঝর্না আক্তার জর্ডানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে, এতে তার টাকার প্রয়োজন হয়। ঝর্না বাড়ির মালিক শেফালির কাছে থেকে টাকা ধাঁর চায়। গত ১৩ মার্চ শেফালি একটি গরু বিক্রয়ের জন্য বায়না হিসেবে ৩০ হাজার টাকা নেয়। এরপর ওই দিনই রাত সাড়ে ১০টার দিকে শেফালি বেওয়া মারা যান।
বিষয়টি ১৪ মার্চ সকালে ঝর্না নিহত শেফালির পরিবারকে মুঠোফোনে জানান আপনার বোন দরজা খুলছে না। পরে পরিবারের লোকজন আসার আগেই দেখা যায় দরজা খোলা এবং ভেতরে গিয়ে শেফালির লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে ঝর্না শেফালির পরিবারকে জানান। এটা জেনে শেফালির লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পরে ঝর্নার আচরণ দেখে সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন, তার গতিবিধি ও ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ঝর্না বিদেশ যাওয়ার টাকার জন্য ওই ৩০ হাজার টাকা নিতে গিয়ে শেফালি বাধা দিলে শীলপাটার নোড়া দিয়ে তাকে মাথাসহ মুখে আঘাত করে হত্যা করে বলে স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেন।
এরপর মঙ্গলবার সকালে ঝর্না শেফালিকে হত্যার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। পুলিশ ওই ৩০ হাজার টাকাসহ ঝর্না আক্তারকে আটক করে।
জয়পুরহাট সদর থানার ইন্সপেক্টর (ওসি তদন্ত) হাবিবুর রহমান হাবিব দৈনিক সূর্যোদয় কে বলেন, শেফালি হত্যার বিষয়টি ঝর্না স্বীকার করেছে এবং ৩০ হাজার টাকাসহ তাকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে মামলাসহ তাকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।