নিরেন দাস,জয়পুরহাটঃ-
জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কর্তৃক ক্লুলেস (সুমন) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন সংক্রান্তে জয়পুরহাট জেলা জেলা পুলিশ সুুপার কার্যালয় হইতে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত আছে যে।
গত ১২-০৩-২০২১ খ্রিঃ দিবাগত রাত্রী ০৯ ঘটিকায় ভিকটিম সুমন হোসেন (২৩) পিতাঃ- চাঁদ মিয়াঁ সাং হংসরাজ থানা-ডোমার জেলা নীলফামারী- বর্তমান সাং দেওয়ানপাড়া থানা ও জেলা জয়পুরহাট,বাড়ী (জয়পুরহাটস্থ) থেকে জয়পুরহাট শহরের উদ্দেশ্যে বের হয়। ১৩-০৩-২০২১ খ্রিঃ রাত্রী অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকায় মো. জহুরুল ইসলাম, পিতাঃ- আব্দুর জব্বার মণ্ডল সাং দেবিপুর, থানা ও জেলা জয়পুরহাট এর পশ্চিম ভিটি গ্রামস্থ ফলজ ও বনজ বাগানে অজ্ঞাতানাম দৃষ্কৃতিকারীরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে ভিকটিম সুমনক ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে ভিকটিম সুমনের স্ত্রী ও ভাইসহ অন্যান্য লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। ভিকটিম সুমনের শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক-১৭-০৩-২০২১ খ্রিঃ উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউয় রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,বগুড়ায় রেফার্ড করেন।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪-০৩-২০২১ খ্রিঃ সকাল ০৮.৩০ ঘটিকায় ভিকটিম সুমন মৃত্যুবরণ করে। এ সংক্রান্তে জয়পুরহাট থানার মামলা নং-৪৪,তারিখ-২৫-০৩-২০২১ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোর্ড রুজু হয়।স্কুলেস মামলটির রহস্য উদঘাটনের জন্য ২০-০৪-২০২১-খ্রিঃ জেলা গোয়েন্দা শাখা জয়পুরহাটের উপর তদন্তভার অর্পণ করা হয়। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই (নিঃ) মো. জাহাঙ্গীর আলম তদন্তকালে জানতে পারেন যে, ভিকটিম সহিত তাদের সাথে চলাফেরা করা বন্ধু গ্রুপের কয়েকজনের সাথে মাদক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়।এই বিরোধের সূত্রধরে তদন্তকারী অফিসার কয়েক জনকে সন্দেহ করেন এবং সন্দেহের ভিক্তিতে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য উপাত্ত তথা ঘটনার সহিত সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করেন। ঘটনার সাথে জরিত সন্দেহে মো.জয় (২৫) পিতা আব্দুর রউফ,সাং ভিটি (হাজিপাড়া) থানা ও জেলা জয়পুরহাটকে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ২৯/৪/২০২১ তাং ভোর রাত্রী-০৩-৩০ ঘটিকায় তার নিজ বাড়ির পার্শে থেকে গ্রেফতার করেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে।ভিকটিম সুমনের সহিত ১৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের ঘটনা নিয়ে আসামী মো. সৈকত এর সাথে বিরোধ চলছিল।এই বিরোধের জেরধরে ঘটনার তারিখ ও সময়ে আসামি সৈকত অপরাপর আসামি মো. জয়, মো.শিহাব,মো.সুজাউলসহ আরো দুইজন মিলে তেঘর রেলগে সংলগ্ন মুশফিকুনের নার্সারিতে ভিকটিম সুমনকে ডেকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আটকে রেখে মাদকের টাকা চায়। ভিকটিম সুমন টাকা দিতে অপারগতা জানালে সকালে আসামীরা মারপিট করে গুরুতর জখম করে মামলার ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে চলে যায়। এই সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আসামী মো. জয় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সহযোগী আসামী মো. সৈকত হোসেন (২৭) পিতাঃ- মৃত. বাবলু সাং দেওয়ানপাড়া এবং আসামী মো.সুজাউল (৩৫) পিতাঃ- মৃত.তছির উদ্দিন সাং তেঘর বিশা(তেঘর রেলগেট) উভয় থানা ও জেলা জয়পুরহাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের খুন ও মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। মামলাটি দ্রুত তদন্ত শেযে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করা হবে।
Leave a Reply