ক্ষেতলাল উপজেলা প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাট জেলা ক্ষেতলাল উপজেলা সমাজসেবা অফিসে কর্মরত অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সুরাইয়া নাসরিন।

চাকুরীতে আবেদন করার যোগ্যতা করা ছিল ১৮ হতে ৩০ বছর নির্ধারণ

তিনি ১৭ বছর ০৭ মাস ০৩ দিন বয়সে আবেদন করে জালিয়াতির মাধ্যমে চাকুরী নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় অনুসন্ধান করে তার বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক দুপচাঁচিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিস ইউনিয়ন সমাজকর্মী ।

ইউনিয়নের প্রভাবশালী কর্মচারী ছিলেন সাধারণ জনগণ জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় কে
জানান, তার কন্যা হওয়ায় জালিয়াতি করে চাকুরী নিয়েছেন ।

সাধারণ জনগণ বলেন যাদের চাকুরীতে আবেদন করার যোগ্যতা ও বয়স নেই তারা চাকুরী পাচ্ছে জালিয়াতির মাধ্যমে আর যাদের বয়স যোগ্যতা আছে তারা সরকারি চাকুরী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের উদ্বৃত্ত কর্মচারী শাখার নং -০৫.১৬৬.০১১.০০.০০.০৯২.২০০৫-১৯৭ তারিখঃ ২৮/০৩/২০১০খ্রিঃ সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্মারক নং সকম/প্রঃ৩/এ-১৬/০২(অংশ-৪)- ১৮৫

তারিখ ১৮/০৩/২০১০ ইং মূলে ছাড়পত্র সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়াধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের ১১৩ জন অফিস সহকারী কাম- কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শূন্য পদে নিয়োগের প্রকৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের নিকট হতে দরখাস্ত আহবান করা হয়।

শর্তাবলীর ১নং ধারায় উল্লেখ করা হয় সকল পদের প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়স ০১/ ০৭/২০১০ খ্রিঃ তারিখে ১৮ হতে ৩০ বছর হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা/ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

এইচ এস সি সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রে সুরাইয়া নাসরিন, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক,সমাজসেবা কার্যালয়,ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।

জন্ম তারিখ ২৮/১১/১৯৯২ ইং, আবেদনের শর্তবলী আবেদনের সময় বয়স ছিল ১৭ বছর ০৭ মাস ০৩ দিন।

সনদ জালিয়াতি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরী করে আসিতেছে
খবর ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ জনগণ উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মরত কয়েকজন জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় কে বলেন।
সরকারি চাকরি সোনার হরিণ ধরতেই তারা তথ্য জালিয়াতি করেছেন।

এ বিষয়ে সুরাইয়া নাসরিন কে সরাসরি জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সঠিক তথ্য না দিয়ে তিনি বলেন, আমি ২০১০ সালের পুনঃবিজ্ঞপ্তি ২০১২ সালে দেওয়ায় আমি আবেদন করি।

তবে কাগজে কলমে তার কোন প্রমাণ দিতে পারেননি। কাগজ পত্র দেখতে চাইলে বলে আমার সমস্ত কাগজ পত্র আছে সময় করে আপনার কাছে দেখাব।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে জয়পুরহাট সমাজ সেবা অফিসের উপপরিচালক ইমাম হাসিম এর কাছে বারবার যাওয়ার পরেও তিনি এ বিষয়ে কিছু না বলে শুধু বলেন এটা আমার জেলা অফিসের বিষয় নয় এটা ক্ষেতলাল উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের বিষয় সেখানেই কথা বলেন।

মিজানুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার,ক্ষেতলাল,জয়পুরহাট কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন

আমি নতুন অফিস সহকারী যোগদান করেছেন অনেক আগে জালিয়াতির বিষয়টি আপনাদের নিকট থেকে প্রথম শুনলাম। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেয়া হবে।