প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ৬:৩৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২১, ২:১৬ এ.এম
জয়পুরহাট পৌর নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী আ”লীগ”বিএনপির দাবী সুষ্ঠ নির্বাচন
নিরেন দাস জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি
আগামী ২৮ শে ফেব্রুয়ারি আসন্ন জয়পুরহাট পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক প্রচার প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন দেশের দুই বৃহত্তর দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি আরো তিন জন মেয়র প্রার্থীরা। জয়পুরহাটে এবারই প্রথম এ পৌরসভায় ইলেক্ট্রনিক্স ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ কারনে পৌর এলাকায় এখন বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। চায়ের টেবিল গুলোতে বইছে ঝড় কে হবেন পৌর পিতা আর পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তঘাটসহ অলিগলি। চলছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে মাঝে দফায় দফায় উঠান বৈঠক,পথসভা ও গণসংযোগ। আসন্ন ভোটকে সামনে করে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
জয়পুরহাট পৌরসভায় এবার মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৫ জন। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৬ জন ও সাধারন কাউন্সিলর পদে ৭০ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তবে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে।
২৫ ফেব্রুয়ারি সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌর্কা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী বর্তমান পৌর মেয়র মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক তার নির্বাচনী পথসভায় আওয়ামীলীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের কথা তুলে ভোট চাচ্ছেন এমনকি তিনি শতভাগ বিজয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করছেন।
অপরদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুল হক তার নির্বাচনী পথসভায় ভোটাদের উদ্দেশে বলছেন অবাধ সুষ্ঠ ভোট হলে এবার পৌরবাসী তাকেই বিজয়ী করবেন এমনটাই আশা করছেন তিনি।
অন্যান্য তিনজন মেয়র প্রার্থীরা হলেন,বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন চরমোনাই পীর সাবেক মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা জহুরুল ইসলাম,জামায়াত মনোনীত জগ প্রতীকের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হাসিবুল আলম লিটন ও নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী বেদারুল ইসলাম বেদ্বীন এবার পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান পৌর মেয়র মো.মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক জানান,আমাকে গত নির্বাচনে পৌরবাসী ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত করেছিলেন আমি মেয়র নির্বাচিত হয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের সকল প্রকার উন্নয়নের ছোঁয়া জয়পুরহাটে লাগিয়েছি বলেই আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারো আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আমি এবার নির্বাচিত হলে আওয়ামী সরকারের উন্নয়নের জোয়ারে জয়পুরহাট পৌরসভা কে আরো উন্নত ডিজিটাল একটি পৌরসভা গঠন করবো ইনশাআল্লাহ। আর সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে জয়পুরহাট পৌরবাসী আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন বলে আমি শতভাগ আশাদাবী।
অপরদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুল হক জানান, সাধারণ ভোটাররা সঠিক ভাবে ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে সুষ্ঠ পরিবেশে ভোট হলে জয়পুরহাটে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত বলে আমি মনে করি।
এবিষয়ে জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন,জয়পুরহাট পৌর নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবার প্রথম ইভিএমে ভোট হওয়ায় প্রশাসন এ ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরীতে কাজ করে চলেছে কিভাবে ইভিএমে ভোট দিতে হবে সে বিষয়ে সাধারন ভোটাদের ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ করতে নির্বাচনী মাঠে ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি রাখা হয়েছে সার্বক্ষণিক নজরদারীতে। ভোট সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ণ করার জন্য জেলা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে, এবার জয়পুরহাট পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৫২ হাজার ৪ শত ৭৩ জন। এরমধ্যে ২৬ হাজার ৮ শত ৫৬ জন নারী ও ২৫ হাজার ৬ শত ১৭ জন পুরুষ ভোটার। ২৮ শে ফেব্রুয়ারি জয়পুরহাট পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডে মোট ২২ টি কেন্দ্রে (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy