সুজন সারোয়ার, টঙ্গী : গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশেষ অভিযানের মাধম্যে ডাকাত চক্রের মুল হোতা একাধীক মামলার আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী জামালকে আটক করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। শীর্ষ সন্ত্রাসী জামালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যা মামলাসহ একাধীক মামলা রুয়েছে। জামাল গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৪৯ নং ওয়ার্ড এরশাদনগর এলাকার ৫ নং ব্লকের সামসুল হকের ছেলে। টঙ্গীর শীর্ষ স্থানীয় সন্ত্রাসীদের তালিকার রয়েছে জামালের নাম।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রবিবারে টঙ্গীর সাতাইশ মধ্যপাড়া এলাকায় সংগঠিত ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে বৃহস্পতিবার রাতে এরশাদনগরের ৫নং ব্লকের বাসা থেকে আটক করা হয় জামালকে। প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন সাতাইশ মধ্যপাড়া এলাকার মোতাহের হোসেন খানের বাড়ীতে ডাকাত চক্রের সদস্যরা বাড়ীর সকল সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাত দল আলমারিতে থাকা এক লক্ষ টাকা ও পনের ভরী স্বর্ণ ও অন্যান্য স্থান থেকে আরো ৬০০০০-৭০০০০ টাকা নিয়ে যায়। যাওয়ার আগের আমাদের মোবাইল ফোন গুলো থেকে সিম কার্ড খুলে নিয়ে যায় এবং বাড়ীর মেইন গেইট তালা দিয়ে চলে যায়।
এসময় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার থোয়াই অং প্রো মারমা ও ওসি এমদাদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। এছাড়াও সিআইডি’ গাজীপুরের এএসপি এনায়েত করিম, সিআইডির ক্রাইম সিন টিমের সদস্যরা ও টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেন। এ ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক এস আই আবুল হাসান জানান, টঙ্গীর সাতাইশ মধ্যপাড়া এলাকায় সংগঠিত ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে এরশাদনগরের ৫নং ব্লকের বাসা থেকে জামালকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় জামালের বাসা থেকে ডাকাতি করার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। তার অত্যাচারে এরশাদনগর ও আশপাশের এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ ছিলো। জামালের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই ও মারামারিসহ বিভিন্ন থানায় প্রায় ১৫টি মামলা রয়েছে। শীর্ষ এই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের পর এরশাদনগর ও আশপাশের এলাকার লোকজনের মধ্যে শান্তি ও আনন্দ বিরাজ করছে। আশারাখি খুব দ্রুত ডাকাত চক্রের সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হবে। টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।