নিজস্ব প্রতিবেদক: শনিবার (১১ জুলাই) রাতে অনলাইনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। ওয়েবিনারের আয়োজন করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিসিপ্লিন (এএবিএডি)।
সেখানে আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এফএমসি সেক্টরে প্রথমদিকের মাসগুলোর জন্য করোনার প্রভাবটা বেশ কষ্টসাধ্য ছিল। আমরা যখন করোনার মধ্যে প্রবেশ করি, দেখেছিলাম যে, খাদ্য পণ্যের দুইটা আইটেম। একটা অপরিহার্য, আরেকটি অপরিহার্য নয়। অপরিহার্য পণ্যের চাহিদা উত্তরোত্তর বেড়েছিল এবং প্রচুর পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছিলাম। অপরিহার্য নয়, এমন পণ্যগুলোর চাহিদা একটু কমেছিল। স্বভাবতই কৃষি পণ্যের চাহিদা বাংলাদেশে সবসময় ভালো ছিল। আমি মনে করি, করোনার প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য কৃষি ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের দেশে যখন প্রচুর পরিমাণে পণ্য সামগ্রীর চাহিদা ছিল, তখন কৃষকরা প্রচুর পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করছিলেন। বাংলাদেশ থেকে যখন লকডাউন উঠে গেল, তখনও কিন্তু আমাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশের কৃষি। কৃষি আমাদের দেশকে অব্যাহতভাবে কৃষি পণ্য সরবরাহ করে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আমি মনে করেছি এফএমসি সেক্টরে প্রথম দিকে পরিস্থিতি খারাপ থাকা সত্ত্বেও উত্তরোত্তর করোনার প্রভাব কেটে গেছে। আপনি জেনে খুশি হবেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা একটা স্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। আমি মনে করছি, এফএমসির চাহিদা উত্তরোত্তর ভালোই থাকবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা রফতানির বাজারে কাজ করব, মান বজায় না রাখলে রফতানির বাজারে পৌঁছাতে সক্ষম হব না। যেহেতু আমরা নিয়মিত আমেরিকার বাজারে রফতানি করি, এ জন্য আমাদেরকে অবশ্যই তাদের সমস্ত মান মেনে রফতানি করতে হয়। আপনি জেনে খুশি হবেন, পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমাদের পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। এ জন্য পণ্যের গুণগতমান সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা রেখে আমাদের পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আছে, প্রত্যেক দেশের কিছু ফুড প্রসেসিংসের কিছু নর্মস (নিয়ম-নীতি) আছে। মান ঠিক রাখার কিছু নিয়মনীতি আছে। ওই নিয়মনীতি যদি মেনে চলি, তাহলে ওই দেশগুলোয় মানসম্মতভাবে পণ্য পৌঁছে দেয়া আমাদের জন্য কষ্টকর নয়। আমরা তাই করছি। কোনোরকম কোয়ালিটি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি না।’