প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৭, ২০২৪, ৮:৩৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ১৮, ২০২০, ১২:২৪ পি.এম
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অপহরণের দুই সপ্তাহেও উদ্ধার হয়নি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মেহরীন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মেহেরীন আক্তার নামে সপ্তম এক স্কুল ছাত্রী অপহরণের দুই সপ্তহ পার হলেও তাকে উদ্ধার বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামালা ও বাদী সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট বাড়ির পাশে বিলের ধার থেকে অস্ত্রের মুখে মেহেরিনকে অপরহরণ করা হয়। অপহরণের পর গত ৫ আগস্ট মেহেরিনের বাবা অপহরণকারীর প্রধান নাহিদ হোসেনসহ তিনজনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা দেন। কিন্ত অপহরণের দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার এজাহার ও অপহৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, উপজেলার তেলিনা গ্রামের মো. হুমায়ুন কবীরের মেয়ে মেহেরিন আক্তার (১৩) পাশ্ববর্তী কালিয়াকৈর উপজেলার রশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। বাড়ি থেকে প্রতিদিন পায়ে হেঁটে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে রশিদপুর গ্রামের ভুলু মিয়ার ছেলে নাহিদ হোসেন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে উক্ত্যক্ত করতে থাকে। মেহেরিন এসব কথা পরিবারের সদস্যদের জানালে বিষয়টা তারা বাবা মা অপহরণকারী নাহিদের বাবাকে জানান। এতে নাহিদ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেরিনকে অপহরণের হুমকি দিয়ে দেয়।
এ ঘটনার জের ধরে গত ৩ আগষ্ট সকাল আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে মেহেরিন বাড়ীর পাশে বিলের কাছে গেলে সেখান থেকে অপহরণকারী নাহিদ হোসেন ও তার সহযোগিরা অস্ত্রের মুখে মেহেরিনকে জিম্মি করে ইঞ্জিনচালিত সেলু নৌকায় তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে মেহেরিনের বাবা ও স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে না পেয়ে নাহিদের বাড়ীতে যান। পরে সেখানে গিয়ে নাহিদের বাবা মাকে ঘটনা খুলে বললে তার অপহৃত মেয়েকে ফেরত দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে নাহিদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকেন। কিন্ত দুই দিন অতিবাহিত হলেও মেয়েকে ফেরৎ না দিয়ে তারা কালক্ষেপন করতে থাকে। পরে স্কুল ছাত্রীর বাবা হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে গত ৫ আগষ্ট দুপুরে মির্জাপুর থানায় নাহিদসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অপহরণের মামলা দেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, একই গ্রামের রায়হান ও শিপলু।এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ২/৩জনকে আসামী করা হয়েছে।
এদিকে অপহৃতের বাবা হুমায়ুন কবীর জানান, দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও পুলিশ তার মেয়েকে উদ্ধার বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিপু সরকার জানান, অপহরণের মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।ভিকটিম কে উদ্ধার এবং আসামীদের ধরতে একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy