
শহিদুল ইসলাম সোহেলঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় কারাগারে গেলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর ও শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান স্বপন।
১৭ অক্টোবর টাঙ্গাইলের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন আবেদন করেন।এরপর
আদালতের বিচারক সাউদ হাসান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়,টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র-১ হাফিজুর রহমান গত ৫ জুন শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় একটি জমি পরিমাপকে কেন্দ্র করে ওই জমির মালিকের জামাতার সাথে কথা বলেন। কথা বলার একপর্যায়ে তিনি তাকে বলেন‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনাকেও মানি না।’ এছাড়াও তিনি নানা অশালীন মন্তব্য করেন। তার এই কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।পরে পৌরসভার ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদ বাদী হয়ে স্বপনের বিরুদ্ধে ৯ জুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
এছাড়াও মুঠোফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় শহরের আকুরটাকুর পাড়ার প্রয়াত আশরাফ চৌধুরীর জামাতা মফিজুর রহমান টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।মামলার পর হাফিজুর আত্মগোপনে চলে যান।পরে উচ্চ আদালতে আবেদন করে আট সপ্তাহের জামিন লাভ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ তার এই জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করে।রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের প্রেক্ষিতে তার আট সপ্তাহের জামিন বাতিল করে এক সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন।
টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহমেদ জানান, হাফিজুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর তাকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য,এ মামলার পর পৌর পরিষদের সভায় তাকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এছাড়াও তাকে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply