ওয়াকিল আহমেদ
ডিম-আলুতে কমলেও বেড়েছে মুরগির দাম
সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, সবজি, মুরগি ও কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। কমেছে ডিম ও আলুর দাম। অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরের ১১, ১৩ নম্বর বাজার, আনন্দবাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে পণ্যের মূল্যের এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, সিম ১২০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, কাকরোলা ৬০ টাকা, পাতা কফি ও ফুল কফি প্রতি পিস ৫০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. শাকিল মিয়া বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির যোগান কম। এর ফলে সবজির দাম আগের থেকে বেড়ে গেছে।
বাজারে আলুর দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। কেজিতে ২০ টাকা দাম বেড়ে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে শুকনো মরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা ১০০ টাকা, হলুদের গুড়া ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকা। এছাড়া ইন্ডিয়ান মসুর ডাল কেজিপ্রতি ৯০ টাকা ও দেশি মসুর ডাল ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। খুচরা প্রতিলিটার তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৩ টাকায়। আগের দামে কেজিপ্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। বাজারে দামে বেড়েছে খুচরা আটার। প্রতিকেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
বাজারে ডিমের দাম কমেছে। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। বাজারে ফের বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। সোনালি (কক) মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকায়।
১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা জালাল উদ্দিন বলেন, খামারে মুরগি থাকা সত্ত্বেও মহাজনরা নানা অজুহাতে মুরগির দাম বাড়াচ্ছে। পোল্টি ফার্মের মালিকরা বলছেন, মুরগির উৎপাদন কম থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে মুরগি এনে সরবরাহ করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের কারণে মুরগির দাম বাড়ছে। সামনে আরো দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।