নীলফামারীর ডোমারে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা করায় বাদী পারভীনের পরিবারকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকির পাশপাশি ও বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে আসামির পরিবারবর্গ।
আসামির পরিবারবর্গের হুমকির জন্য বাড়ীতে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে ভুক্তভোগী পরিবারের
উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের জামিরবাড়ী শালডাঙ্গা হুজুরপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে
ভুক্তভোগী পারভীন জানান, আমার স্বামী রবিউল ইসলাম ও ছোটবোন পারুলের স্বামী আমার দেবর সফিকুল ইসলাম জীবিকার তাগিদে ঢাকায় অবস্থান করেন।
এরই সুযোগে স্খানীয় কিছু ব্যক্তি আমাদেরকে নানাভাবে উত্তক্ত করে আসতো
গত ২৩ আগষ্ট রাতে স্থানীয় সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে অনিক ইসলাম, আব্দুল হকের ছেলে হাফিজুল ইসলাম, ইসরাইল ইসলামের ছেলে আজাদ হোসেন ও আব্দুর রহিমের ছেলে ময়নুল ইসলাম বাড়ীতে আমার স্বামী না থাকার সুযোগে তারা আমার বাড়ীতে পুলিশ পরিচয়ে প্রবেশ করে আমাকে ডাকলে আমি পুলিশ মনে করে ঘড়ের দরজা খোলার সাথে সাথে তারা আমার ঘড়ে প্রবেশ করেই অনিক আমাকে অন্যান্যদের সহযোগিতায় আমার ওপর যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টা চালালে আমার চিৎকারে ঘড়ের মধ্যে আমার সন্তানরা জেগে উঠে ভয়ে কাদঁতে থাকলে আসামিরা আমার সন্তানদেরও মারধর করে। আমি আমার ইজ্জত রক্ষায় নিজেকে বাচাঁতে প্রানপনে চিৎকারে বাড়ীর লোকজন ও আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা আমাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় ২৫ আগষ্ট ডোমার থানায় মামলা করলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিনিয়ত আমাকে ও আমার বোনের পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকির পাশাপাশি আমাদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছেন। এর পূর্বেও তারা আমার বোনের উপর অত্যাচার চালিয়েছিল। মামলা করার পর থেকেই আসামীর পরিবারবর্গ আমাদের পরিবার সমন্ধে নানা মিথ্যা কথা প্রচার করার পাশাপাশি আমাদের অবুঝ সন্তানদের ক্ষতি করবে বলে প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন। মামলার প্রধান আসামি অনিককে পুলিশ গ্রেফতার করলে আসামীর পরিবার বর্গ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তারা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করে আমাদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন। রাতের বেলা অপরিচিত মানুষদের বাড়ীর কাছে এনে চিৎকার চেচামেচি ,গাছের উপর চড়ে ভয় দেখানো সহ আমাদের মেরো ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। আমরা ভয়ে সন্ধার পর থেকে বাড়ীর বাইরে বের হইনা। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আতিকুজ্জামান, মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার বাদীর যাতে কোন অসুবিধে না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজার রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।