মাননীয় মেয়র মহোদয় সমীপেষু
ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন।
মহোদয়,
আমফান,বুলবুল,আইলা, নার্গিস ব্যাপক আঘাত করেছে অতীতে সবুজে ঢাকা গত কয়েক বছরে এই শহরকে আকাশ রেখায় যতটা সবুজ দেখাত, ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কার পর সে এখন বেশ খানিক রুক্ষ, বিবর্ণ। আমফানের অভিঘাতে মহানগর জুড়ে উপড়েপড়ে ছিল রমনা এলাকা অনেক গাছ। ঢাকার সার্বিক পরিবেশের দিক থেকে গভীর উদ্বেগ বয়ে এনেছে।
ঝড়ের গতি ছিল তীব্র। তবু এতে প্রচুর পরিমাণ গাছ উপড়েপড়েছিল পরিস্থিতি সামাল দিতে ঢাকা সিটিকর্পোরেশনকে হিমশিম খেতে হয় আগামী২৪ জুলাইবিশ্ব বনায়ন দিবসে ঢাকা সিটি কর্পোরেশননের উদ্যোগে ঢাকা শহর জুড়ে নতুন গাছ লাগানো একান্ত প্রয়োজন।
শহর জুড়ে এতশত গাছ পড়া নিয়ে কথা হচ্ছিল পরিবেশ প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে। তাদের কথায়, এই ঝড়ে অর্জুন, শিশু,অশ্বর্থ, আম, জারুলের মতো শক্ত মজবুত গাছও উপড়ে গেছে অনেকসময় । এর সবথেকে বড় কারণ গাছের গোড়া আলগা। আধুনিক এই শহরের মাটিই আলগা হয়ে পড়েছে। মেট্রো রেল, মাটির নীচে অজস্র কেব্ল, পাইপ লাইন শহরের মাটি আলগা করে ফেলেছে। অপরিকল্পিতভাবে গাছ লাগানোও একটা বড় কারণ গাছ পড়ে যাওয়ার। দুটি গাছের মধ্যে কম করে ১০ ফুটের দূরত্ব রাখা দরকার। যেটা সবসময় মানা হয় না। অনেক বড় বড় গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু মাটি পরীক্ষা না করেই সেইসব গাছ লাগানো হয়। গাছ একটু বড় হতে না হতেই গাছের চারদিক বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও আবার গাছের গোড়ায় মন্দিরও সিটিকর্পোরেশনেের অফিস তৈরি করা হয়েছে। এতে গাছের বড় ক্ষতি হয়েছে। মাটির নীচে বিদ্যুৎ, কেব্ল, ফোনের লাইনের কাজের জন্য যখন তখন খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। অসচেতনতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাছের শিকড়। আলগা হয়ে পড়ে শিকড়। পানি পৌঁছায় না মাটির ভিতরে। এর ফলে গাছটি একটু একটু করে দুর্বল হয়ে পড়ে। পরিবেশ বিদদের একাংশের অভিযোগ অপরিকল্পিত এবং অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গাছ লাগানোর জন্যই গাছ পড়ে গেছে। শহরে সবুজায়ন ভীষণ জরুরি। তবে নতুন বৃক্ষরোপণের আগে পরিকল্পনা জরুরি।
পৌসভার লোকের একই অভিমত। ঝড়ে অনেক শক্ত গাছ পড়ে গেছে। বট, অশ্বত্থের মতো মাটি কামড়ে পড়ে থাকা গাছও ঝড়ে উপড়ে পড়ে। ঝড়ে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়তেই পারে। কিন্তু শিকড় সমেত উপড়ে পড়েছে মানে বুঝতে হবে মাটি আলগা হয়ে পড়েছে। এসব বড় বড় গাছের শিকড় মাটির এত গভীরে পৌঁছে যায়। নানা পরিষেভার কেব্ল লাইন। কাজের জন্য বারবার খোঁড়াখুঁড়ি, ঢিলে করে দিয়েছে জমি। ডেকে এনেছে সমস্যা। পৌরসভা কে সিদ্ধান্ত নিতেহবে বিদ্যুৎ, কেব্ল–সহ এইসব জরুরি পরিষেবা লাইনের জন্য আলাদা ইউটিলিটি টানেল করা যায় কিনা রাস্তার ধার দিয়ে যাবে সেই টানেল। টানেলের মধ্যেই থাকবে এইসব পরিষেবার তারের লাইন।
পৌরসভা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া উচিৎ বলে মনেকরি। এলাকা পরীক্ষা করে যেখানে যে ধরনের গাছ লাগানোর পরামর্শ দেবেন, সেখানে সেইরকম গাছই লাগানো দরকার। তালিকায় মূলত দেবদারু, আম, জাম, শিশু, নিম, জারুলের বকুল,মতো শক্ত গাছের নাম রাখা দরকার। গাছ বাচাও, মানুষ বাচাও অামরা বুকভরে অস্কিজেন নেই। এই তবেই তো জীবন বেচেথাকে। এই অস্কিজেন দেয়কে? গাছ, পৃথিবী এত সুন্দর কেন ? গাছ আছে বলেই তো ডালে ডালে সবুজ পাতা।কৃষ্ণ চুড়ার প্লাবন আমাদেরকে অাজও মানুষ করে রেখেছে। গাছ নেই মানে পাখীর কল কাকলী নেই,সৌন্দর্য নেই।
Go green
Save our earth.
Green Dhaka.
clean Dhaka.
সবুজে বাচি
সবুজে হাসি।
সবুজ ঢাকা
পরিচ্ছন্ন ঢাকা
আগামী২৪জুলাই বিশ্ব বন দিবসে আমরা আপনাকে নিয়েশপথ গ্রহন করব ইনশাল্লাহ।
” আমি এই মর্মে শপথ নিচ্ছি যে আজ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে,সবুজ বাংলা,নির্মল বাংলা গড়ার লক্ষ্যে। আমি বৃক্ষ রোপন করিব।এবং চার পাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখব। আসুন আমরা সবাই হাতে হাত মিলিয়ে সবুজের সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলি”।
আপনার আগামী সুন্দর কামনায় মহান আল্লাহ আপনাকে সুস্হ্য রাখুন,নিরাপদে রাখুন
এই কামনা করি।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
আপনারই গুণমুগ্ধ
মো নওশের আলী
সভাপতি
১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
ঢাকা মহনগর আওয়ামী লীগ দক্ষিন
মতিঝিল ঢাকা
Leave a Reply