৩য় পর্ব
যোবায়ের হোসাইন , উত্তরা থেকে :
ঢাকা ১৮ আসনের জনপ্রিয় সাংসদ, আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ্যাডঃ সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শূন্য আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৫৬ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে যেমন রয়েছে উচ্চ, মধ্যে ও নিম্ন শিক্ষিত তেমনি রয়েছে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থী।
প্রতিবেদক যোবায়ের হোসাইন, সরে জমিন অনুসন্ধানে ঢাকা ১৮ আসন আওয়ামীলীগের ত্যাগী, নিস্বার্থ ও নিরপেক্ষ নেতা কর্মীদের ব্যাপক সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে ৫৬ জন প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষিত ও যোগ্য প্রার্থীদের একটি ডাটাব্যাজ তৈরী করেছেন।
প্রার্থী পছন্দ ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিভক্ত স্থানীয় নেতা কর্মীদের কাছে গ্রহন যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা একেবারেই কম। বর্তমানে অনেক প্রার্থীও মনে করেন, যোগ্যতার ক্ষেত্রে উত্তরার নেতাদের মধ্যে অনেক ঘাটতি রয়েছে। জাতীয় সংসদের একজন সদস্য একজন আইন প্রনেতা। তার বক্তব্য ও সমর্থনে জাতীয় সংসদে একটি আইন পাস হতে পারে, তাই প্রার্থীকে প্রথমে হতে হবে শিক্ষিত ও মেধাবী। জানা থাকতে হবে একজন সংসদ সদস্যের দায়িত্ব ,কর্মপরিধি ও নিজ এলাকার থানা, ওয়ার্ড এবং মৌজার খুটিনাটি। তাদেরকে হতে হবে কর্মী বান্দব এবং জনগনের প্রতি আন্তরিকতা। দীর্ঘ কয়েকদিন সরে জমিন অনুসন্ধানে প্রতিবেদক যোবায়ের হোসাইন ঢাকা ১৮ আসনে এরকম যোগ্য প্রার্থীদের খোঁজে ও প্রার্থী পছন্দ ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিভক্তি সমাধানে সাধারন মানুষের সাক্ষাতকার গ্রহন করেন। প্রার্থীদের মধ্যে এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের ভাগ্নে ও ভ্যক্তিগত সহকারি মজিবুর রহমান, কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খাঁন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হাবিব হাসানের কিছুটা গ্রহন যোগ্যতা রয়েছে অধিকাংশ মানুষ সাহারা খাতুনের বিকল্প কোন প্রার্থী দেখেন না। কারন সাহারা খাতুনের কর্মী বান্দব কর্মকান্ড মানুষের ভেতরে এতটাই আকর্ষন সৃষ্টি করেছে যে, সাহারা খাতুনের মতো প্রার্থী না পেলে অনেকে ভোট দিবেন না বলে প্রতিবেদককে জানান। অনেকে সাহারা খাতুনের ভাগ্নে মজিবুর রহমানকে সাহারা খাতুনের প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখেন। উত্তরখান ও দক্ষিনখানের একাধিক নেতা কর্মীদের সাথে কথা বল্লে, তারা নাম প্রকাশে না করার শর্তে বলেন, আমরা যখন এমপি হিসেবে সাহারা খাতুনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাই, সাহারা খাতুন বার্ধক্যের কারনে অনেক কিছুই তার পক্ষে বুঝে ওঠা কঠিন ছিল। মজিবুর রহমান দক্ষতার সঙ্গে সব সকিছুই সামাল দিতেন। মজিবুর রহমান দীর্ঘ দিন সাহারা খাতুনের সঙ্গী থাকার সুবাদে ঢাকা ১৮ আসনের প্রতিটি জোন, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতা কর্মীদের চাওয়া পাওয়ার আত্বভরসায়ে পরিনত হন। যে কোন কর্ম ও বিরোধ নিরসনে মজিবুর রহমানই ছিলেন ভরসার স্থল। সাহারা খাতুনের প্রতিটি সংসদীয় কাজ দক্ষতার সঙ্গে সমাধান করতেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, মানব বন্ধন, প্রতিবাদ সভাসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যকলাপ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতেন। তাই সাহারা খাতুনের বিকল্প ও প্রতিচ্ছবি হিসেবে মজিবুর রহমানের বিকল্প কেউ নেই। শিক্ষাগত দিক দিয়েও মজিবুর রহমান অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় অনেক এগিয়ে। তিনি ১৯৮২ সালে বর্তমান সরকারি বিজ্ঞান স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং একই কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এইস এসসি পাশ করেন। ১৯৮৬ সালে এরশাদের ছাত্র সমাজের ব্যাপক অত্যাচার ও নির্যাতনে জগন্নাথ কলেজ ছাড়তে বাধ্য হন। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় এর অধীনে বিএ পাশ কোর্স এর মাধ্যমে ডিগ্রী পাশ করেন। অন্য দুই প্রার্থী হাবিব হাসান ও আফসার উদ্দিন খাঁনও ..... চলবে
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy