ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী (সিআইপি) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থী হয়ে তিনি শুক্রবার উত্তরখান মাজার মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে সকলের দোয়া চেয়েছেন।
এদিকে, খসরু চৌধুরী প্রার্থী হওয়ায় ঢাকা-১৮ আসনের ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, ক্লাব-চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র আলোচনা তাকে ঘিরে। তিনি প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররা উচ্ছ্বসিত।
কঠোর পরিশ্রম, ইস্পাত কঠিন সংকল্প ও পাহাড়সম প্রতিজ্ঞা খসরু চৌধুরীকে পরিণত করে দেশের অন্যতম সেরা শিল্প উদ্যোক্তা। তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন ঢাকা-১৮ আসনের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। যে দিকে তিনি হাত দিয়েছেন সে দিক থেকেই এসেছে তার অভূতপূর্ব ও অচিন্তনীয় সফলতা। রাজধানীর দক্ষিণখানে তার প্রতিষ্ঠিত কে সি হাসপাতালে প্রতিবছর লাখো রোগী সহনীয় খরচে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। দক্ষিণখানে তার প্রতিষ্ঠিত কে সি স্কুল এন্ড কলেজও ছড়িয়ে যাচ্ছে শিক্ষার আলো।
সামাজিক উন্নয়নে খসরু চৌধুরীর ভূমিকা অতুলনীয়। কে সি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বছরে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা-১৮ আসনবাসীকে। তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মসংস্থান হচ্ছে লাখো মানুষের। অপরদিকে গরীব, দুস্থ, অভাবীদের দুহাতে দান করে যাচ্ছেন এই কর্মবীর। বহু ঘঠনা এমন আছে যেখানে অভাবীরা এসেছেন তাঁর কাছে একটু সাহায্যের জন্য, কিন্তু খসরু চৌধুরী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে শুধু তাদের অভাবটুকু দূর করে দেননি, বরং বিভিন্নভাবে তাদের জীবনের উপায় ও স্বাবলম্বী করে দিয়েছেন।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে খসরু চৌধুরী ঢাকা-১৮ আসনে অসংখ্য রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় নিজ উদ্যোগে অনেক রাস্তা পাকা করেছেন, মেরামত ও সংস্কার করেছেন অনেক পুরাতন রাস্তা। তিনি নিজ অর্থ ব্যয়ে আশ্রয়হীন ও গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছেন।
খসরু চৌধুরী প্রসঙ্গে বৃহত্তর উত্তরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন বলেন, দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে খসরু চৌধুরী ঢাকা-১৮ আসনের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডে তার প্রতিষ্ঠিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান কে সি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিম্নআয়ের অসহায় মানুষ, কর্মহীন, বেকার জনগোষ্ঠী, ফুটপাত ও বস্তিতে থাকা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময়ে ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডে কে সি ফাউন্ডেশনের কর্মী বাহিনীদের নিয়ে ত্রাণ তৎপরতা চালিয়েছেন। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিটি শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে তিনি মাসব্যাপী আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রতি বছর শীতের সময় তার পক্ষ থেকে ঢাকা-১৮ আসনের সাতটি থানা ও ১৪টি ওয়ার্ডের হাজার হাজার পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন। ঢাকা-১৮ আসনে যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে সেখানেই পৌঁছেছে খসরু চৌধুরীর সহযোগিতা। নিজস্ব অর্থায়নে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল করে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। ঢাকা-১৮ আসনের দক্ষিণখান ও উত্তরাখানে তার মালিকানাধীন নিপা গ্রুপে ৩০ হাজারেরও অধিক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। খসরু চৌধুরী সিআইপি এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হবেন এটা নিশ্চিত করেই বলা চলে।
সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু বলেন, ঢাকা-১৮ আসনের জনপ্রিয় নেতা খসরু চৌধুরী সিআইপি। তিনি জনবান্ধব, কর্মীবান্ধব, দলবান্ধব আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি সারা জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, নীতি-নৈতিকতার চর্চা করেছেন। অসহায় গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। স্মার্ট ঢাকা-১৮ আসন গড়তে ভোটাররা তাকেই বেছে নিবে।