রবিউল ইসলাম:
ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলটির সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক সাংসদ নাজমা আক্তার। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি।
গত ৯ জুলাই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এর মৃত্যুর পর ঢাকা-১৮ আসনটি শূন্য হয়।
বর্ণাঢ্য সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনে নাজমা আখতার ছিলেন ত্যাগী, সংগ্রামী, প্রতিবাদী নেত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত জিএস ছিলেন, ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। স্বৈরচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছিলেন প্রথম কাতারে। ১/১১’তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে কোর্টে নেওয়া হলে, অনেক নেতারা যখন গা-ঢাকা দিয়েছিলেন তখন সর্ব প্রথম কোর্ট প্রাঙ্গনে যুব মহিলা লীগকে নিয়ে মিছিল করেন,১/১১এর সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি লক্ষ্যে প্রায় ২ লক্ষ মা-বোনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।২০০৪ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মামলায় কারা বরণ করেন।
নাম না বলা শর্তে আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীদের সাথে কথা হলে তারা জানান,মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে ভালোবেসে সততা আর সাহসিকতার সাথে রাজনীতি করে আসছেন নাজমা আক্তার, দীর্ঘ ৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে অন্যায়ের কাছে আপোষ করেননি কখনও। সন্ত্রাসী কর্তৃক অত্যাচার, জুলুুম ও নির্যাতনের শিকার এবং একাধিকবার কারা বরন করলেও রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত জীবনে এখন পর্যন্ত আদর্শচুৎ হননি ।তিনি দলের ক্লান্তিকালে নেতা কর্মীদের প্রতি শেখ হাসিনার প্রতিটি নির্দেশ পালনের মাধ্যমে যুব মহিলা লীগ সুসংগঠিত করতে চেস্টা করেছেন। এমন নেতা মনোনয়ন পেলে আমরা খুশি থাকব।
একান্ত সাক্ষাৎকারে নাজমা আক্তার বাংলাদেশ আলোকে জানান, আমি হয়তো অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মত বড় রাজনীতিবিদ হতে পারব না তবে তার মত সৎ দুর্নীতিমুক্ত এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থাকতে পারবো, ঢাকা ১৮ আসনে উপ-নির্বাচনে আমি আপনাদের দোয়া ও সমর্থন কামনা করি।দলীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য করব কিন্তু দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি জয়ের জন্য শতভাগ আশাবাদী।