ডেস্ক রিপোর্ট | বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১ | প্রিন্ট
তসলিমা নাসরিন, সুপ্রীতি ও সুচিস্মিতার বিরুদ্ধে চার্জশিট
ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ‘ইসলাম বিদ্বেষ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল (সিটিটিসি) ইউনিট। অভিযুক্ত অন্য দু’জন হলেন উইমেন চ্যাপ্টার ওয়েবসাইটের সম্পাদক সুপ্রীতি ধর ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুচিস্মিতা সিমন্তী। ওই একই ওয়েবসাইটের উপদেষ্টা লীনা হককে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজমুল নিশাত জানিয়েছেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘তদন্ত করে আমরা তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছি। আর নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় একজনকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সেটাই চার্জশিটে বলেছি। এখন আদালত পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
২০১৮ সালের এপ্রিলে মামলাটি করেছিলেন মাসিক আল বাইয়্যেনাত পত্রিকার সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলম। তার আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলাম বিদ্বেষ ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ’ উত্থাপন করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। ‘পুলিশ মামলায় চার্জশিট দিয়েছে, এখন আদালতে অভিযোগ গঠনসহ অন্য প্রক্রিয়া শুরু হবে’ বলেন তিনি।
মুহম্মদ মাহবুব আলম ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় পিটিশন মামলাটি দায়ের করেছিলেন, যাতে তসলিমা নাসরিন, সুপ্রীতি ধর, সুচিস্মিতা সিমন্তি ও লীনা হককে আসামি করা হয়েছিল। এই মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে ‘প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা কাহিনী তৈরি করে এসব ব্যক্তিরা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিপ্রায়ে লিপ্ত আছেন।’
অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুকে ‘ধর্ষকের কাছে নারীর কোনো ধর্ম নাই’ শিরোনামে লেখা একটি পোস্টে তসলিমা নাসরিন পয়গম্বরদের নিয়ে ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন এবং তার লেখাটি উইমেন চ্যাপ্টার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছিল।
‘আসামীরা সকলে এ দেশের ধর্মপ্রাণ নারী সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করার একই সাধারণ উদ্দেশ্য পূরণে তাদের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে ইসলাম বিদ্বেষী এসব পোস্ট করে থাকেন। বাদী/সংবাদদাতা একজন ধার্মিক মুসলিম এবং আলেম হওয়ায় এসব ইসলাম বিদ্বেষী পোস্ট পড়ে তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে’ অভিযোগে বলা হয়।
নব্বইয়ের দশকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে লেখক তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। বর্তমান ভারতে বসবাস করছেন তিনি। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন এ লেখক। আদালতে অভিযোগপত্র দায়েরের পর তার পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy