রংপুর ব্যুরো:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে রূপান্তরিত স্মার্ট বাংলাদেশ যখন এগিয়ে চলছে প্রযুক্তির উৎকর্ষ নিয়ে অথচ একাধিকবার পত্রিকার পাতায় এই তহশীলদারের কুকীর্তি এবং ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে চলছে তাদের ঘুষ বাণিজ্য। তার ক্ষমতার উৎস কোথায়? জানতে চায় এলাকাবাসী। বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে এই অফিসের জাতীয় পতাকা নিয়েও অবমাননার চিত্র। অপর দিকে সরকারের বিধি অনুযায়ী শনিবার অফিস বন্ধ থাকলেও উক্ত দিবস অফিস খুলে অফিসের ভেতরে এলাকার চিহ্নিত কিছু টাউট, বাটপাড় ও দালালদের নিয়ে অর্থ বাণিজ্য করতে দেখা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অনৈতিক অর্থ লেনদেনের বিষয় জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন ঐ ভূমি অফিসের দায়িত্বরত তহশীলদার আনিছুর রহমান। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ১০নং হরিরামপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত আনিছুর রহমান তহশীলদার কম্পিউটার চালনায় অদক্ষ এবং ঘুষ বাণিজ্যে সিদ্ধহস্ত। ভূমি মন্ত্রণালয় জনগণের ভোগান্তি লাঘবে চালু করেছে অনলাইন খাজনা পরিশোধ পদ্ধতি কিন্তু তহশীলদার আনিছুর রহমান কম্পিউটার ব্যবহার জানেন না অজুহাতে দিনের পর দিন হয়রানি করছেন ভূমি মালিকদের। তার পূর্ব কর্মস্হল বিরামপুরের সুমন মিয়া নামক একজনকে সপ্তাহে ২/১ দিনের জন্য নিয়ে এসে এক সপ্তাহের জমানো কাজের স্তুপ থেকে কাংখিত কিছু কাজ তিনি করিয়ে নেন অনেক বেশি ঘুষের বিনিময়ে। অনলাইনে খাজনা প্রিন্ট রসিদের চেয়ে ৮/১০ গুণ বেশি টাকা হাতিয়ে নেন তারই অফিস সহকারী জহুরুল ইসলামসহ কিছু দালালের মাধ্যমে। বিরামপুর থেকে আনা ভাড়াটিয়া কম্পিউটার অপারেটর সুমন মিয়া জানান মুলত: আমি এই ভূমি অফিসের কেউ না, আনিছুর রহমান তহশীলদার আংকেল পূর্ব কর্মস্হলের পরিচয়ে আমাকে ফোন করে সপ্তাহে ২/১ দিনের জন্য নিয়ে আসেন, উনি কম্পিউটার ব্যবহার জানেন না বলেই। অভিযোগ আছে তিনি চুক্তিভিত্তিক আগাম টাকা নিয়ে রাখেন এবং ছুটির দিন শনিবারেও অবৈধভাবে উপার্জিত টাকার বিনিময়ে কাজগুলো সুমন মিয়া, অফিস সহকারী জহুরুল ইসলাম ও তাদের মনোনীত দালালদের সহায়তা করে থাকেন। অকর্মন্য চাপাবাজ আনিছুর রহমান এক সময় হাইস্কুলের শিক্ষক ছিলেন বলে দাবি করেন। অতি কথক বাচাল প্রকৃতির এই তহশীলদার নিজেকে সকলের প্রভু মনে করেন এবং সেবা প্রত্যাশীগণদের তার অধীনস্ত প্রজা ভাবেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার রুঢ় আচরণে অনেকে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি/২৩ ভূমি অফিসের সামনে সাক্ষাৎ হয় সেবা গৃহিতা খন্দকার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে, তিনি জানান ৩২ শতাংশ জমির খারিজের জন্য আবেদন এসিল্যান্ডে দিয়েছি প্রতিবেদনও গিয়াছে ৩২ শতকের স্হলে ৮ শতকের খাজনার রসিদ দাখিল হয়েছে বাকি ২৪ শতকের খাজনার জন্য ৫ দিন আসলাম কাজ করছেন না। দিব দিচ্ছি কারেন্ট নেই আবার কারেন্ট থাকলে বলে কম্পিউটার চালাতে পারি না সমুন নামক ছেলেটা আসলে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি বাহানা। আমি একজন প্রধান শিক্ষক যদি সামান্য কাজে এভাবে হয়রানির শিকার হই তাহলে অশিক্ষিত কিংবা সাধারণ মানুষ কতভাবে ভোগান্তির শিকার বলার অপেক্ষা রাখে না। সাম্প্রতিক সময়ে তহশীলদার ঘুষের টাকা ফেরত দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছিলেন এবং এ সংক্রান্ত সংবাদ গণ-মাধ্যমে এসেছিল। অভিযোগ আছে তহশীলদার খেয়াল খুশি মত অনিয়মিত অফিস করেন তার আগমন প্রস্হান ও স্বেচ্ছাধীন। শুধু তাই নয় সরকার প্রদত্ত মোবাইল ফোন তিনি বন্ধ করে রাখেন। কোন বিষয় কথা বলতে চাইলে তিনি অফিস সহকারী জহুরুল এর মোবাইলে ফোন করার পরামর্শ দেন। এই বাচাল এবং অসভ্য তহশীলদার সেবা গৃহিতাদের কথা শুনতে কিংবা বুঝতে চায় না। একজনকে অফিসের বাহিরে নিয়ে গিয়ে সে তার সঙ্গে গোপন কন্ট্রাক্ট নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটায়। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল থেকে স্মার্ট যুগে প্রবেশ করেছে, আনিছুর রহমান ও জহুরুল ইসলামের মত ঘাপটি মেরে বসে থাকা দুর্বৃত্যরা আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন ও সফলতাকে বিলীন করতে যথেষ্ট। তাই সময় থাকতেই কৃষক-বান্ধব সরকারের কৃষকদের হয়রানি বন্ধে আনিছুর রহমান তহশীলদার এবং অফিস সহকারী জহুরুলকে থামাতে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy