শফিকুল ইসলামঃ উত্তরের জেলা সিরাজগঞ্জের তাড়াশে টানা চার দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন।ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে চারপাশ।সন্ধ্যার পর থেকে দিনের অর্ধভাগ পর্যন্ত কুয়াশা ঝরছে বৃষ্টির মতো। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলছে যানবাহন, যা মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। বিশেষ করে নদীর পাড় ও চরাঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষ এবং নিম্ন আয়ের খেটে-খাওয়া শ্রমজীবীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
তাড়াশের বিভিন্ন এলাকায় ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। বিভিন্ন মাঠে ইরি ধানের বীজতলা তৈরির কাঠা প্রস্তুতে বেশ পেতে হচ্ছে।উপজেলার তালম ইউনিয়নের মানিকচাপর এলাকার দিনমজুর আসাদুল ইসলাম বলেন, ঠাণ্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে মাঠে কাজ করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে, হাত-পা যেন ঠান্ডায় যেন জমে যাচ্ছে। অবশ্য এই শীতে এখন পর্যন্ত মৌসুমি ফসলের কোন ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, তাড়াশ পৌরসভার দক্ষিণ পাড়ার অটোরিকশা চালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দিনের বেলাতেও কুয়াশার কারণে লাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। সামনে সামান্য দূরের জিনিসও দেখা যাচ্ছে না। তাড়াশ আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন,চলতি মাসে এ এলাকায় আরও ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডার কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এর সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ যোগ হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।