আসন্ন ১৪ফেব্রুয়ারি তানোর পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণা,পথসভা ও গণসংযোগে দেখা মিলছে আ"লীগ তথা নৌকার বিদ্রোহী সব প্রার্থীদের তাদের কাজি হচ্ছে সকল প্রকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রতিক নৌকা মার্কা ফুটো করা। আর তারাই এবার তানোর পৌর নির্বাচনের মাঠে আ"লীগের মনোনীত প্রার্থী ইমরুল তথা নৌকার পক্ষে গণসংযোগ করছেন।
গত ১০ ই মার্চ ২০১৯ ইং সালে তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই নির্বাচনে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তথা নৌকা প্রতিক চেয়ে ছিলেন তানোর উপজেলা আ"লীগের শীর্ষ কয়েক টি নেতা তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত নৌকা প্রতিক পান তানোর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি ও কলমা ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ"লীগের দলীয় ফরম উত্তোলন করার সময় সকল প্রার্থী ওয়াদা করেছিলেন যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত নৌকা প্রতীক যে পাবে তার হয়ে তথা নৌকার হয়ে নির্বাচনি মাঠে কাজ করে নৌকা মার্কার বিজয় ঘটাবেন।
তবে আ"লীগ সংগঠনের ওয়াদা ভঙ্গ করে বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টিতে যোগ দিয়ে হাতুর প্রতীক নিয়ে নৌকা ফুটো করার চেষ্টা করেছিলেন শরিফুল ইসলাম এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অনেক নির্যাতন করেছিলেন হাতুড়ি বাহিনী।
আরেক জন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুলাহ আল-মামুন তিনিও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতিক চেয়ে ছিলেন এবং ওয়াদা করেছিলেন। জনপ্রিয়তা না থাকায় তিনি নৌকা প্রতিক পান্নি। তার পর থেকেই তিনি রাজনীতির মাঠ থেকে সরে গিয়েছেন। এমনকি তার নিজ ওয়ার্ডে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে গিয়ে হাতুড়ির কাছে ভরাডুবি হয় নৌকার। যা এর আগে কোন নির্বাচনে হয়নি।
এরআগে ২০০৯ ইং সালের দিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করেন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী। এতে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে চাকা প্রতিক নিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। ফলে রাব্বানীর পরাজয় ঘটে। জয় হয় বিএনপির। পরিশেষে মুন্ডুমালা পৌরসভার নির্বাচনে নৌকার পক্ষে মাঠে দেখা মিলেনি তাদের। হটাৎ করে তানোর পৌর নির্বাচনে নৌকার তথা ইমরুলের পক্ষে গণসংযোগে সামিল হয়েছেন। কথা হলো তাহলে মুন্ডুমালা পৌরসভার নৌকা আর তানোরের নৌকা কি আলাদা,,,,,,?
তৃতীয়জন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানী তিনি শত বছরের রাজনীতি পরিবারের সন্তান বলে নিজেকে পরিবেশন করেন তিনি আবার এক ধাপ এগিয়ে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী -১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আস্থা ভাজন আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী কে তৃতীয়বারের মতো আ"লীগ থেকে দলীয় নৌকা প্রতিক দেন। তিনিও দলীয় ওয়াদা ভঙ্গ করে আ"লীগ সংগঠন থেকে দুরে সরে ছিলেন এমন কি কয়েক দিন আগেই মুন্ডুমালা পৌরসভার নির্বাচনে নৌকার পক্ষে তো দুরের কথা উল্টো আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমান কে পুরো সেন্টার দিয়েছেন। মুন্ডুমালা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড নিজ কেন্দ্রে..ই আ"লীগের নির্রাচনী অফিস পুড়ানো হয়েছে এবং নিজের কেন্দ্রে..ই নৌকার পরাজয় হয়েছে।
উল্লেখ্য মুন্ডুমালা পৌরসভার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমানের ভোটের রেজাল্ট সিট তানোর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে সংগ্রহ করেন ওয়াকার্স পার্টির শরিফুল ইসলাম এবং নৌকার পরাজয় কেন্দ্র করে আনন্দ উল্লাসে মাতোয়ারা হন তিনি। এবং প্রকাশ্যে রাস্তায় ডান্স এর মাধ্যমে আনন্দ মিছিল করেছে শরিফুল। আবার সেই শরিফুল কি করে তানোর পৌরসভায় নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন,,,,,?
এতে করে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী ও আ"লীগ সর্মথকরা বলেন : বর্তমান তানোর পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ইমরুল হক সে নিজেই তানোর পৌর নির্বাচনে আ"লীগের মনোনীত প্রার্থী প্রদিব সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছিলেন ফলে বিএনপির প্রার্থীর জয় হয়েছিলো। তার পরেও আ"লীগ থেকে তাকেই নৌকা প্রতিক দিয়েছে। তবে আমরা আ"লীগ করি নৌকার বাইরে যাবো না নৌকা মার্কায় ভোট দিব বলে জানান তৃনমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy