শহিদুল ইসলাম সোহেল নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১ | প্রিন্ট
নিখোঁজের চারদিন পর তালাবদ্ধ ঘরের মেঝের নিচ থেকে আব্দুর রশিদ নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে শোয়ার ঘর থেকে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মুক্তাগাছা শহরের ইশ্বরগ্রামের মাঝিপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার নাতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ও স্ত্রী রিনা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মুক্তাগাছা থানায় মামলা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, শহরের ইশ্বরগ্রামের মাঝিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সের আব্দুর রশিদ পেশায় কাঠের পাইকারি ব্যবসায়ী। রোববার সন্ধ্যার পর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। কোনো ছেলে না থাকায় মেয়েরাই তাকে দেখাশোনা করেন। বড় মেয়ে হেনা আক্তার বসবাস করেন বাবার সঙ্গেই। হেনা আক্তার একটি ক্লিনিকে চাকরি করেন। ওইদিনও তিনি কাজ শেষে রাতে বাসায় ফেরেন। বাসায় এসে বাবাকে দেখতে পাননি। তিনি দেখেন, তার বাবার শোয়ার ঘরে একটি নতুন তালা ঝোলানো রয়েছে।
এরপর থেকে তিনি তার বাবা আব্দুর রশিদের আর খোঁজ পাননি। আব্দুর রশিদের দ্বিতীয় মেয়ে বিনা আক্তারের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু মাঝেমধ্যে তার নানা সঙ্গেই ঘুমাতেন। ওইদিনের পর থেকে তাকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নেন। বৃহম্পতিবার রাতে তালাবদ্ধ শোয়ার ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে হেনা আক্তার অন্য বোনদের খবর দেন। তালা ভেঙে দেখেন ঘরের ভেতরে গর্তের ওপর মাটি ভরাট করা এবং সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। পরে থানা পুলিশ মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
আব্দুর রশিদের বড় মেয়ে হেনা আক্তার বলেন, তার বাবার সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে কে বা কারা হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছিল। তিনি তার বাবা হত্যার বিচার দাবি করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, মাটি খুঁড়ে বৃদ্ধ আব্দুর রশিদের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তার নাতি ও নাতি বউকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।