সেলিম সম্রাট, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা নদী থেকে ইজারা ছাড়াই অবাধে বালু উত্তোলন করছেন কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। বালু বা মাটি বিক্রির জন্য সরকারের অনুমতি লাগলেও অনুমতিও নেয়নি তারা। ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকার আশেপাশের ফসলি জমি।
জানা যায়, উপজেলার সিঙ্গীমারী ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর ধুবনীর চর এলাকা থেকে ইজারা ছাড়াই অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছেন ট্রাক্টর মালিক আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হাওয়ায় স্থানীয় লোকজন তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও দিতে সাহস পাচ্ছেন না।
জানা গেছে, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ধারা ৫ এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা-৪ এর (খ) অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ,বাঁধ সড়ক, মহাসড়ক, বন,রেললাইন, ও অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ৭-৮দিন ধরে নিয়মের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বালু তুলছেন আব্দুর রাজ্জাকসহ একটি প্রভাবশালী মহল। স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও তারা তা বন্ধ করেনি। বালু উত্তোলনের ফলে অনেক ফসলি জমি ও বাড়িঘর ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।বালু তোলার ফলে ওই এলাকার আবাদি জমি হুমকিতে পড়েছে। আর প্রতিদিন ট্রাকে করে অবৈধ বালু বহনের কারণে রাস্তার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
ট্রাক্টর মালিক রাজ্জাক মিয়া বলেন আমি সাত দিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যান দুলুর রাইস মিলে বালু গুলো দিচ্ছি। নদীর বালু কেন দিচ্ছেন জানতে চাইলে এর কোন উত্তর তিনি দিতে পারেন নি।
সিঙ্গীমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনোয়ারা হোসেন দুলু এর সাথে একাধিক বার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন, গত দুই দিন আগে আমি বন্ধ করে দিয়েছিলাম আবার যদি বালু উত্তোলন শুরু করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ছবিঃ ধুবনীর চর থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছেন একটি প্রভাবশালী মহল।