1. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
তিস্তা পাড়ের জেলেদের দুর্ভোগ
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাড়তি পরিশ্রমের  নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর  সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী লক্ষ্মীপুরে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ বরুড়ায় বই ও কসমেটিক বিক্রেতাকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড,  স্বামী’র কারাদণ্ড বদলগাছীতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কাঠ মিস্ত্রিকে সহায়তা দিলেন সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী দেবীদ্বারে আনোয়ারাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের ফ্লাইওভারে গাড়িতে আগুন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অস্থির চট্টগ্রামের মসলার বাজার বরগুনা উপজেলার হলদিয়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়ন ভেঙ্গে নতুন ৫ ইউনিয়ন করার দাবী এলাকাবাসীর রাউজানে বড় ভাইয়ের হাতে আপন ছোট ভাই খুন

তিস্তা পাড়ের জেলেদের দুর্ভোগ

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২১, ৩.৪৪ পিএম
  • ১৮০ বার পঠিত
রেখা মনি ,নিজস্ব প্রতিবেদক
তিস্তায় পানিও নাই মাছও নাই, কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।নদীত পানি থাকলে দিনকাল হামার ভালোই যাইত। তিন মাস তিস্তা নদীত পানি না থাকায় মাছও পাই না। বর্তমানে হামা পরিবার নিয়া খুব কষ্টে আছি।’ তিস্তা নদীতে মাছ না পাওয়ায় খালি হাতে বাড়ি ফেরার সময় এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন জেলে মজিদুল ইসলাম।
তিস্তা ব্যারাজ থেকে শুরু করে তিস্তার বিস্তীর্ণ এলাকা এবং সেচ প্রকল্পের নালায় এই মৌসুমে পানি না থাকায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিস্তাপারের হাজারো জেলে। পরিবার নিয়ে খেয়ে না-খেয়ে মানবেতর দিন পার করছেন তারা। সেই সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ৬৩ চরের হাজারো খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলা তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজানসহ মোট ১৩টি নদীবেষ্টিত এলাকার হাজারো জেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে প্রতিবছর তিস্তাসহ কয়েকটি নদী পানিশূন্য হয়ে পড়ে। প্রতিবছর ৩ থেকে ৪ মাস নদীতে পানি না থাকায় এসব জেলে মাছ ধরতে না পেরে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটান।
তিন মাস পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য স্থানীয় দাদন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা সুদ নিয়ে জীবনযাপন করেন।অনেকে দিনমজুরি, কেউবা জাল সেলাই করে উপার্জনের চেষ্টা করেন।
লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলা নদীতে পানি সংকটে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বৈরালি মাছ। ব্যাপক চাহিদা থাকলেও সুস্বাদু এই মাছটি জেলেদের জালে আর আগের মতো ধরা পড়ে না। যেটুকু পাওয়া যায় বাজারে তা বিক্রি হয় অত্যধিক চড়া মূল্যে। তিস্তাপারের কিছু জেলে সারা দিন দু-এক কেজি করে ছোট-বড় বৈরালি মাছ ধরছেন। সেই বৈরালি মাছ মুহূর্তেই তিস্তা পাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। তিস্তায় ভরপুর পানি থাকলে প্রচুর পরিমাণে বৈরালি মাছ পাওয়া যেত।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তা ব্যারাজের উজানের অংশে সামান্য পানি আছে। ব্যারাজের ভাটিতে পানি নেই। ব্যারাজসংলগ্ন এলাকায় বেশকিছু জায়গাজুড়ে চলছে মৃদু পানির স্রোত। এতেই মাছ ধরার চেষ্টা করছে জেলেরা। তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় মাছ ধরা নিষেধ থাকলেও কয়েকজন জেলে জীবিকা নির্বাহের জন্য ছোট নৌকা নিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় জেলে কুদ্দুস আলী বলেন, ‘তিস্তা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষের সংখ্যা ৫০ হাজারের কম নয়। পানির মৌসুমে মাছ ধরি যে টাকা ইনকাম করি সেই টাকা এলা তিন মাস ধরি বসি বসি খাই। অনেকে তা-ও পায় না।’
দোয়ানী মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি রজব আলী বলেন, বর্তমানে তিস্তা নদীতে পানি না থাকায় পাঁচ শতাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়েছেন। তিস্তায় চার মাস পানি না থাকায় বেশিভাগ জেলে কর্মহীন হয়ে পড়েন। তাই জেলেদের কথা চিন্তা করে সরকারি সাহায্য প্রদানের দাবি জানান তিনি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরে এই সময় তিস্তা নদীতে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ কিউসেক পানি থাকে। সাধারণত নদীতে পানি কম থাকায় মাছের পরিমাণও কম হয়।
লালমনিরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল জানান, জেলার নদীগুলোতে তিন থেকে চার মাস পানি না থাকায় জেলেরা কষ্টে দিন কাটান। তাই জেলেদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews