1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
তীব্র ভাঙনে ঘরবাড়ি-বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন

তীব্র ভাঙনে ঘরবাড়ি-বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০, ৯.২১ পিএম
  • ২৭৩ বার পঠিত

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:  তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। তিস্তার ভাঙনে গত ৪ দিনে উপজেলার হাগুরিয়া হাশিম এলাকার প্রায় অর্ধশত বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন করে তিস্তার পানি বাড়ছে। নদীতে রয়েছে তীব্র স্রোত। স্রোতে ভাঙছে পাড়, জমি ও বসতবাড়ি। অনেকে শেষ সম্বলটুকু বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বন্যা ও ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব পরিবারগুলোর অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।

গত ২৪ জুন দক্ষিণ গাবুড়া গ্রামের শেষ বাড়িটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরে ভাঙন থেমে যায়। কিন্তু গত ৪ দিন থেকে ফের তিস্তা নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। এতে নদী তীরবর্তী হাগুরিয়া হাশিম গ্রামের প্রায় ৫০টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে যায়। এছাড়া পাশের নাউয়া পাড়া এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে যেকোনো মুহূর্তে প্রায় শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ গাবুড়া (মাঠের হাট) গ্রামটি ভাঙনের কবলে পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ওই গ্রামে পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসতি ছিল। গত তিন বছরে দক্ষিণ গাবুড়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের পাকা মসজিদ, হাট-বাজার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অসংখ্য স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। শত শত একর আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বার বার আবেদন করা হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতি বছর তারা তিস্তার ভাঙনের শিকার হচ্ছে।

হাগুরিয়া হাশিম গ্রামের মোর্শেদুল হক জানান, বন্যার কারণে মাঝে নদী ভাঙন বন্ধ ছিলো। কিন্তু নতুন করে আবার ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণ গাবুড়া গ্রামের শেষ বাড়িটি বিলীন হয়ে যাওয়ার পর হাগুরিয়া হাশিম গ্রামে ভাঙন দেখা দেয়।

ভাঙনের শিকার ফজল মণ্ডল বলেন, গত বছরও হাগুরিয়া হাশিম থেকে এক-দেড় কিলোমিটার দূরে ছিল নদী। এখন ভাঙন এতো তীব্র যে ঘরবাড়ি সরানোর সময় পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে পীরগাছা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদি হাসান বলেন, ছাওলা ইউপিতে তিস্তার ভাঙন রোধে বরাদ্দের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews