রাজবাড়ী প্রতিনিধি: গোয়ালন্দের দৌলতদিয়াতে পদ্মা নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৬ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরি দেখা মিলছে না অপেক্ষারত ট্রাকগুলোর।
পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিটি ফেরি নদী পার হতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে।
এতে করে যানবাহন পারাপার চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তীব্র স্রোতের বিপরীতে চলতে না পেরে দুর্বল যন্ত্র ও ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনের দুটি ফেরি বসা আছে। ফলে এ রুটের বহরে থাকা ১৫টি ফেরির মধ্যে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরি না থাকায় যানবাহনগুলোকে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের অন্তত ২ কিলোমিটার জুড়ে অপচনশীল মালবোঝাই ট্রাকের দীর্ঘসারি দেখা যায়।
আজ বুধবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় হতে রাজবাড়ীর দিকে আহলাদিপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট রয়েছে। নদী পারের জন্য সড়কেই রাত কাটাতে হচ্ছে চালকদের।
যশোর থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক আসলাম শেখ বলেন, ভাই নদী পারের জন্য আমরা এখানে তিন দিন আগে এসেছি। এখনো ফেরির দেখা পাইনি। কবে নাগাদ পাব তাও জানি না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলোর চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে নদী পার হতে ফেরিগুলোর ৩০ মিনিট সময় লাগত সেখানে এখন এক ঘণ্টার উপরে লাগছে। যার কারণে নদী পারের জন্য ঘাটে কিছুটা যানবাহনের চাপ রয়েছে।
বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে মোট ১৩টি ফেরি চলাচল করছে বলেও তিনি জানান।