এস এম জীবনঃ
রাজধানী মিরপুরের দিয়াবাড়ি সিন্নিরটেকের বিআইডব্লিউটিএর ল্যান্ডিং স্টেশনের উত্তর পাশে নবাবের বাগ পাকার মাথা এলাকায় তুরাগ নদীতে অবৈধভাবে মাটি কর্তন করে বিক্রির মহাউৎসব চলছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বাল্ক হেডে ভরা হচ্ছে । জানতে চাইলে ড্রেজিং মেশিন থেকে একজন বলেন, বিআইডব্লিউটিএ থেকে মাটি কাটা হচ্ছে । কোন ঠিকাদার জানতে চাইলে,মনসুর নামে একজনের কথা বলার পরামর্শ দেন । কাগজপত্র দেখতে চাইলে বলেন, আপনারা উপরে গিয়ে বসুন, লোক আসছে কাগজ নিয়ে।
এরপর স্থানীয়ভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে রাত দিন ২৪ ঘন্টা মাটি কেটে বিক্রি করছেন একটি মাটি খেকো চক্র।
বাল্কহেড প্রতি আনুমানিক ৪০/৪৫ হাজার টাকায় মাটি বিক্রি হয়, প্রতিদিন ২০-৩০ বাল্কহেড মাটি চলে যায় যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। দিন প্রতি যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। স্থানীয় সাধারণ জনগণ এবং রাজনৈতিক একাধিক নেতার মতে প্রতিদিন প্রায় ১২ লক্ষ টাকার আয়ের কোন অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের কেউ পাচ্ছে না। অথচ এক শ্রেনীর অসাধু নৌ-পুলিশ কর্মকর্তা এবং উক্ত এলাকার পাতি নেতারা অবৈধ ভাবে অর্থ ইনকাম করছে।
এ বিষয়ে নৌ- পুলিশের আমিন বাজার জোনের ওসির সঙ্গে কথা বললে তিনি টিম পাঠাচ্ছেন বলে জানান কিন্তু পাঠাননি।
১ঘন্টা পরে আবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন উক্ত স্থানটি তার আওতাভুক্ত নয়। আশুলিয়া জোন বা অঞ্চলের মধ্যে। আপনি আশুলিয়ার ইনচার্জের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিবেদক পরক্ষণে মুঠোফোনে নৌ- পুলিশের অতিরিক্ত নৌ পুলিশ সুপার মোঃ তানভীর ভূঁঞার সঙ্গে কথা বললে তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে আমিন বাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মানিক মৃধার নেতৃত্বে একটি টিম পাঠান এবং অভিযান পরিচালনা করেন এবং প্রাথমিক ভাবে কাজ বন্ধ করে দেন এবং কাগজ পএ পর্যালোচনা করেন। সিন্ডিকেটের সদস্যরা মিলে তখন একটি ভুয়া কাগজ প্রদর্শন করেন। যেটা গত ০৮/০৫/২৪ ইং তারিখে বিআইডব্লিউটিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত স্মারক নম্বর ১৮.১১.০০০০.২৬৬.১৪.০৯৬.১৮-০০(ক:)তারিখ ১৯/১১/২৩।
উক্ত পত্রের শর্ত অনুযায়ী কোন কিছুর সঙ্গে মিল নাই ।
অনুসন্ধানে জানা যায় আমিন বাজার জোনের ওসি হাসানুজ্জামানের সঙ্গে যোগসাজশে এই মাটি কাটার মহা উৎসব চলছে।এই জন্যেই সাংবাদিকদের কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি বিভ্রান্ত করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন,ড্রেজিং এর সকল কার্যক্রম বন্ধ। তাই বর্তমানে ড্রাজিং’র কোন কার্যক্রম চলার কোন প্রশ্নই নেই। উক্ত স্মারক নম্বরের পত্রটি তার নিকট পাঠালে তিনি জানান, এই ধরনের কোন চিঠি বিআইডব্লিউটিএ থেকে হয়না ।
এ বিষয়ে আরো অধিকতর জানতে,বিআইডব্লিউটিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু জাফর মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ কবিরের স্বাক্ষরিত পত্রটি তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে পাঠিয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে, তিনি কোন উত্তর দেননি ।
এ বিষয়ে ফোনে জানতে সহকারী পুলিশ সুপার জনাব হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএর একটি কাগজ তারা প্রদর্শন করেছেন, বিআইডব্লিউটিএ যদি আমাদেরকে অভিযানে ডাকে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব ।
অভিযান পরিচালনাকারী নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক মানিক মৃধা বলেন, আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি তাদের কাজও বন্ধ রেখেছি তারা একটি কাগজ দেখিয়েছেন, আপনি আমার স্যারের সঙ্গে কথা বলেন ।
Leave a Reply