প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ৫, ২০২৫, ৯:১০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২৭, ২০২১, ৫:২০ পি.এম

তেরখাদা উপজেলা আ'লীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান বহিস্কার
এম আর হাসান জেলা প্রতিনিধি খুলনা :
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে কেন্দ্রে সুপারিশ করবে জেলা আ’লীগ। আর প্রকাশ্যে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী বক্তব্য দেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তেরখাদা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এফ এম অহিদুজ্জামানকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারে কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে। সোমবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা জেলা আ’লীগের অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জেলা আ'লীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আ’লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই তেরখাদা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে দরিদ্রদের মধ্যে চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ওহিদুজ্জামান। দলের নেতা-কর্মীরা চাল বিতরণ অনুষ্ঠানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিলে তা ভাইরাল হয়। এ নিয়ে দলের মধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আ’লীগ নেতা ওহিদুজ্জামান বলছেন, সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মূর্শেদী শুধু রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া নয়, তিনি বাংলাদেশের সম্পদ। তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বহির্বিশ্বে যান তখন কিন্তু সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মূর্শেদী ডোনেশন করেন, টাকা দেন। খুলনা জেলায় অনেক সংসদ সদস্য আমাদের আবদুস সালাম মূর্শেদীর টাকায় হইছেন।
জেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি জানান, সোমবারের সভায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পর আ’লীগ নেতা ওহিদুজ্জামানকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাকে ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে হবে। এছাড়া উপজেলা আ’লীগের ১নং সহ-সভাপতি এফ এফ নওয়াব আলী টিপুকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সেদিন আ’লীগ নেতা ওহিদুজ্জামানের বক্তব্যের পর সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মূর্শেদী মোবাইল ফোনে বক্তব্য রাখেন। কিন্তু তিনি ওহিদুজ্জমানের কথার কোনো সংশোধনী দেননি। সে কারনে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানোর জন্য সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া সভায় আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বর্ধিত সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটির সভা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ স্বাগত বক্তব্য দিয়ে জরুরি প্রয়োজনে সভাস্থল ত্যাগ করার পর ১নং সহ-সভাপতি এড. সোহরাব আলী সানা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বক্তৃতা করেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি এড. এম এম মুজিবর রহমান, এড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বিএমএ ছালাম, মোস্তফা কামাল পাশা খোকন, এড. নিমাই চন্দ্র রায়, রফিকুর রহমান রিপন, আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল, এড. ফরিদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, প্রচার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. নব কুমার চক্রবর্তী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এড. মোস্তাফিজুর রহমান কালু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ শেখ শহীদ উল্লাহ্, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ শহিদুল ইসলাম, অসিত বরণ বিশ্বাস ও ফারহানা হালিম।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি কাজী বাদশা মিয়া, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম খালেদীন রশিদী সুকর্ন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, দপ্তর সম্পাদক এমএ রিয়াজ কচি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এড. শাহ আলম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ রকিকুল ইসলাম লাবু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী শামীম আহসান, শ্রম সম্পাদক মোজাফফর মোল্লা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েদুজ্জামান সম্রাট, নির্বাহী কমিটর সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, শেখ আকরাম হোসেন, আনোয়ার ইকবাল মন্টু, অধ্যক্ষ ফ ম ছালাম, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, বিলকিস আক্তার ধারা, শিউলি সরোয়ার, শাহিনা আক্তার লিপি, ফারজানা নিশি, অমিয় অধিকারী, আনিসুর রহমান মুক্ত, আজগর বিশ্বাস তারা ও জামিল খান প্রমুখ।