সোমেন সরকার নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কখনো রিকশা চালক,কখনো দিনমজুরের কাজ করে এবং বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম বা সেবাপ্রার্থী সেজে বিভিন্ন থানায় গিয়ে থানার ওসি, তদন্ত ও অফিসারদের নাম সংগ্রহ করে। নাম সংগ্রহ করার পরে তারা থানায় সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়।
খোঁজখবর নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের নাম ব্যবহার করে আসল বাদী, বিবাদীর কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে। আবার কখনো থানার ওসি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে। কোতোয়ালী থানার ওসি পরিচয়ে ২,০০,০০০ টাকা চাঁদা দাবীকারি ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
রবিবার ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন ময়দার মিল বৌ বাজার মোড় থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান এসআই মিজানুর রহমান চৌধুরী।গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, চট্টগ্রাম জেলার মীরশ্বরাই থানাধীন মগাদিয়া, দক্ষিণ তালবাড়িয়া,
লম্বা হোসেন সওদাগর বাড়ীর মৃত আবু জাফরের ছেলে মোঃ আজিম হোসেন প্রকাশ ইমন (২৭), বর্তমানে-নগরীর বাকলিয়া থানাধীন ময়দা মিল, কালা মকবুলের কলোনীর ভাড়াটিয়া ও চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন রগুনাথপুর, মহিউদ্দিনের বাড়ীর মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে মোঃ আরিফ হোসেন (৩০) এবং এবং মোঃ তারেক (২২) বর্তমানে-নগরীর বাকলিয়া থানাধীন ময়দা মিল
চেয়ারম্যান গলির, জামালের কলোনীর ভাড়াটিয়া।অভিযান পরিচালানা করেন, কোতোয়ালী থানার এসআই মিজানুর রহমান চৌধুরী, এসআই মেহেদী হাসান, এসআই মোঃ ইয়াসিন।
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন, পিপিএম জানান, আসাদগঞ্জের ব্যবসায়ী জনৈক মোঃ লুৎফর রহমান (৪২) এর কাছে কল দিয়ে আমার পরিচয় দিয়ে কারখানা চালানোর বিষয়ে আয়কর প্রদান করে না বলে বিভিন্ন ভাবে শাসায় এবং ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় ব্যবসা বানিজ্য করতে দিবে না বলে হুমকী প্রদান করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং নগদ নম্বরে টাকা পাঠানোর কথা বলে অন্যথায় জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।
একপর্যায়ে তিনি নগদ নাম্বারে ১৫০০ টাকা বিকাশ পাঠান। পুনরায় টাকা পাঠাতে চাপ দিলে তিনি বিষয়টি টহল পুলিশকে জানান। পরে এসআই মিজানুর রহমান চৌধুরী মোবাইল নম্বর গুলো সংগ্রহ করেন এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মোবাইল নম্বরের ব্যবহারীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে বাকলিয়া থানাধীন ময়দার মিল বৌ বাজার মোড় হইতে গ্রেফতার করে।তিনি আরও জানান, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা পরস্পর যোগসাজশে কোতোয়ালী থানার ওসি পরিচয়ে ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবীর কথা স্বীকার করে। তার ইতিপূর্বেও বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিকট হইতে কোতোয়ালী থানা, পাঁচলাইশ থানা, পতেঙ্গা থানার এসআই মিজান পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাদাবী করেছে। ব্যবসায়ী মোঃ লুৎফর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply