এ,এইচ,এম তারেকুজ্জামান ফাইন প্রধান:
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি:-জানা গেছে, ওই ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম তাঁর বড় ভাইয়ের স্ত্রী (ভাবি) হালিমা বেগমকে দরিদ্র দেখিয়ে ৪/৫ বছর আগে জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের একটি ঘর বরাদ্দ করিয়ে নেন। হালিমা বেগমের নামে বরাদ্দের ঘরটি কৌশলে ইউপি সদস্যের নিজ নামীয় জমি নয়ারহাট এলাকায় নির্মাণ করে দখলে নেন তিনি। ভাবির নামে নেওয়া ঘরটি তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট ভাড়া প্রদান করেন। সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরটিতে ভাড়ায় বসবাসরতদের ব্যবহৃত ছবি সংগ্রহ করার পরদিনই তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে মালামালসহ ভাড়াটিয়াদেরকে অন্যত্র সরিয়ে দেন।
এ ছাড়াও সম্প্রতি হালিমা বেগমের স্বামী (ইউপি সদস্যের বড় ভাই) শাহজামালকে দরিদ্র দেখিয়ে আবারো দুর্যোগ সহনীয় একটি সরকারি ঘর বরাদ্দ নেন।
ওই ইউনিয়নের অপর একজন ইউপি সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাইদুল ইসলাম ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে তার আর্থিক অবস্থা শোচনীয় ছিল। কিন্তু দুই দফায় ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আখের গুছিয়ে সম্পদশালীর বনে গেছেন। বর্তমানে তিনি ট্রাক,ট্রলি,জমিসহ অনেক সম্পদের মালিক।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম আপন বড় ভাই-ভাবির নামে দুইটি সরকারি ঘর বরাদ্দ নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার বড় ভাবি একজন স্বামী পরিত্যক্তা। আমার বড় ভাই দ্বিতীয় বিয়ে করে আলাদা থাকেন। আগের স্ত্রীর কোনো খরচ দেন না তাই তাঁর নামে ঘরটি বরাদ্দ নিয়েছি। বড় ভাইয়ের নামে আরো একটি সরকারি ঘর কিভাবে বরাদ্দ নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
৭নম্বর দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন প্রধান বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপন ভাই-ভাবির নামে দুইটি সরকারি ঘর বরাদ্ধ নেওয়া ঠিক করেননি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ইউপি সদস্য নিজ ভাই-ভাবির নামে ঘর বরাদ্দ নেওয়া ঠিক করেনি। আমি এ ব্যাপারে খোঁজ নিব।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy