ডেস্কঃ
দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার পরবর্তী মহাপরিচালক পদে বাছাই করা হচ্ছে আজ। দেশের শীর্ষ এ কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম ‘মজলিসে শূরা কমিটি’ নির্ধারণ করবে কে হচ্ছেন বর্তমান মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফীর উত্তরসূরি। যিনিই উত্তরসূরি নির্বাচিত হবেন তিনিই এক সময় হবেন হেফাজতে ইসলাম, বেফাক, আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে শীর্ষ কওমি আলেমের দায়িত্বও পালন করবেন। আল্লামা আহমদ শফী বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় উত্তরসূরি নির্বাচন করে যেতে চাইছেন। তাই আজ মঙ্গলবার বসছে ‘মজলিসে শূরা কমিটি’। এ কমিটি নির্ধারণ করবে মাদ্রাসার পরবর্তী মোহতামিম বা মহাপরিচালক। যিনি আহমদ শফীর জীবিত থাকা অবস্থার হাটহাজারী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এবং পরবর্তীতে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন। মজলিসে শূরার ১৭ সদস্যের মধ্যে ছয়জন মারা গেছেন। তাই ১১ জন শূরা সদস্য ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নির্বাচন করবেন। ভারপ্রাপ্ত দৌড়ে রয়েছেন হাটহাজারী মাদ্রাসার চার শিক্ষক। তাদের মধ্যে রয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাদ্রাসার জনপ্রিয় শিক্ষক ও প্রবীণ আলেম আহমেদ দিদার কাসেমী, মাওলানা শেখ আহমদ ও মুফতি মোহাম্মদ জসিম। হাটহাজারী মাদ্রাসার একাধিক সূত্র জানায়, হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক নির্ধারণে বেশ কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে হাটহাজারীর স্থায়ী বাসিন্দা, পারিবারিক ঐতিহ্য, জ্ঞান ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা। মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা থাকলেও তার মহাপরিচালক হওয়ার বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে হাটহাজারীর স্থায়ী বাসিন্দা না হওয়া, আল্লামা আহমেদ শফীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়াসহ বেশ কিছু বিষয়। এ ছাড়া শূরা কমিটির উল্লেখযোগ্য অংশ বাবুনগরীর বিপক্ষে রয়েছে। তাই সব সমীকরণ মিলে কপাল খুলতে পারে প্রবীণ আলেম আহমেদ দিদার কাসেমী, মুফতি জসিম কিংবা মাওলানা শেখ আহমদের। তবে এ তিনজনের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন আহমেদ দিদার কাসেমী।