১ বছর ৩ মাস পরেও দিনাজপুরের খানসামায় ডাকিয়ে নেওয়া ব্রীজ এর টাকা সরকারী কোষাগারে জমা হয়নি।

 নতুন ব্রীজ নির্মাণের অজুহাতে নিলাম ছাড়াই পুরাতন ব্রীজ ভাঙ্গীয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সরকারের নির্ধারিত মূল্য প্রায় সাড়ে ৫৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সরকার উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টংগুয়া হতে পাকেরহাট রাস্তায় ৮.৭০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি বক্স কালভার্ট যা ২০১৭ সালের বন্যায় বিধ্বস্ত হয়। এটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য ২০১৯ সালের ১৪ মে উপজেলা পরিষদের মিটিং-এ পুরাতন কালভার্টটি ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৮ মে নোটিশ মোতাবেক ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলার জন্যে নিলাম হয় ঐ বছরের ১৩ মে। ডাকে এরশাদ জামান, সিকান্দার আলী কাবুলসহ ৪-৫ জন ঠিকাদার নিলাম ডাকে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যে কেউ নিলাম  নিতে না চাইলে আগ্রহী না হলে নিলামটি স্থগিত করা যায়।

পরে তৎকালীন উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সুবীর কুমার সরকারের মৌখিক নির্দেশে সাংবাদিক পরিচয়ধারী মোজাফফর হোসেন নিলাম ছাড়াই সরকারী অর্থ জমা না দিয়েই ব্রীজটি ভেঙ্গে নেন। এই ঘটনার ১ বছর ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও সরকারী কোষাগারে অর্থ জমা দেন নাই মোজাফফর হোসেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বর্তমান উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী বারবার সরকারি অর্থ পরিশোধের তাগাদা দিলেও তালবাহানা করে এখনও অর্থ জমা দেন নাই তিনি।

এবিষয়ে মোজাফফর হোসেনের সাথে কথা হলে তৎকালীন প্রকৌশলী কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে ব্রীজটি ভাঙ্গার কথা স্বীকার করলেও সরকারী কোষাগারে অর্থ পরিশোধের বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।

তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী সুবীর কুমার সরকার মুঠোফোনে জানান, সেসময় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে ব্রীজটি কেউ নিতে না চাইলে দ্রুত সময়ে টাকা পরিশোধের শর্তে সাংবাদিক মোজাফফরকে ব্রীজটি ভেঙ্গে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরে তাকে অর্থ পরিশোধের কথা বলা হলেও নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, কোনভাবেই সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করতে দেয়া হবে না। পাশাপাশি নিলাম প্রক্রিয়ার পদ্ধতিগত অনিয়মের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য যে, মোজাফফর এর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে চুরি, ছিনতাই, নারী ও শিশু নির্যাতনের একাধিক মামলা রয়েছে।