নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ ১০ বছর পেরোলেও এখনও প্রাথমিক পর্যায়েই আটকে আছে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহতম শিল্প দুর্ঘটনা রান্না প্লাজা ধসের হত্যা মামলা। ২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিলে সাভারের রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় বিশ্বের ইতিহাসে সর্বোচ্চ এক হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হয়। এদিকে ওই ঘটনার মামলায়, সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় ভুক্তভোগীরা।
সাক্ষীদের হাজির করতে নানা জটিলতা ধীরগতির কারণ, বলছে রাষ্ট্রপক্ষ। এছাড়া অন্য দুটি মামলা বিচারিক আদালতের চৌকাঠই পেরোতে পারেনি এখনও ।
সাভারের রানা প্লাজার তৃতীয় তলার দেয়াল ও পিলারে ফাটল দেখা দেয়। পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র কমকর্তারা ভবন পরিদর্শন করেন এবং বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগ পর্যন্ত সেখানে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। কিন্তু শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে চাপ দেন ভবনে থাকা ৫টি কারখানার মালিক। পরদিন ২৪শে এপ্রিল সকালে ঘটে বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম শিল্প দুর্ঘটনা। এমনটাই উঠে এসেছে মামলার অভিযোগপত্রে।
রানা প্লাজা ধসে সর্বোচ্চ সংখ্যক শ্রমিক হতাহত হন। ওই ঘটনায় হত্যাসহ মোট তিনটি মামলা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মামলার ধীরগতির কারণে বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় ভুক্তভোগীরা।
এবিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিমল সমাদ্দার জানান, হত্যা মামলার ৩৯ জন আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন কেবল ভবনের মালিক সোহেল রানা। সম্প্রতি হাইকোর্ট তাকে জামিন দিলেও, তা স্থগিত করে চেম্বার জজ আদালত। এছাড়া পলাতক সাতজন এবং জামিনে আছে ৩১ আসামি। তদন্তে ধীরগতি, উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশসহ নানা কারণে সাত বছরের বেশি সময় চলে গেছে হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে।
অবশেষে গেলো বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয় এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ। মোট সাক্ষি ৫৯৬ জন। দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য যতটা সম্ভব বেশি সাক্ষ্য নেয়ার চেষ্টার কথা বলছে রাষ্ট্রপক্ষ।
ভবন ধসের ঘটনায় বিল্ডিং কোড লঙ্ঘনের মামলায়, অভিযোগ গঠন হলেও সাক্ষ্যগ্রহণই শুরু হয়নি। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে থমকে আছে প্রক্রিয়া। আর ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলা রয়েছে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে।