বরিশাল প্রতিনিধি: দুই ছেলে লাঠিসোটা নিয়ে মারামারিতে লিপ্ত। তাদের মারামারি থামাতে ছুটে আসেন বাবা আনিচুর রহমান হাওলাদার। কিন্তু এক ছেলের লাঠির আঘাত বাবার মাথায় লাগে। এতে মাটিতে পড়েই মারা যান বাবা আনিচুর।
শুক্রবার দুপুরে বরিশালের হিজলার গুয়াবাড়িয়া ইউপির মাউলতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আনিচুর ওই গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে। আটকরা হলেন- আনিচুর রহমান হাওলাদারের মেজো ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও সেজো ছেলে রাকিবুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, আনিচুর রহমান হাওলাদারের চার ছেলে। এর মধ্যে বড় ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী। মেজো ও সেজো ছেলে অন্যের ক্ষেতে দৈনিক মজুরির কাজ করে অনটনের সংসার চালাতো। বৃহস্পতিবার জাহিদুল কাজে না গিয়ে বাইরে ঘোরাঘুরি করে কাটিয়ে দেন। ওই দিন রাতে সারাদিন কাজ করে এক কেজি চাল ও এক পোয়া ডাল নিয়ে বাড়ি ফেরেন রাকিবুল।
মা-বাবাসহ ছয়জনের খাবার হিসেবে একটি চাল ও এক পোয়া ডাল কম। এ সময় জাহিদ ও রাকিবের মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়া এক পর্যায়ে মারামারিতে রূপ নেয়। ছেলেদের মারামারি থামাতে বাবা আনিচুর হাওলাদার এগিয়ে আসেন। এ সময় জাহিদুলের লাঠির আঘাত বাবা আনিচুরের মাথায় পড়ে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েই ঘটনাস্থলেই মারা যান আনিচুর।
হিজলা থানার ওসি অসিম কুমার সিকদার জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে জাহিদুল ও রাকিবুলের মধ্যে মারামারি হয়। ওই সময় ছেলেদের বাবা মারামারি থামাতে যান। কিন্তু ছেলের লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি জানান, ঘটনাটি পারিবারিকভাবে ধামাচাপা দিতে জানাজার প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু পুলিশ খবর পেয়ে অভিযুক্ত দুই ছেলেকে আটক করেছে। তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া মরদেহ উদ্ধার করে হাপসাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।