নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিপ্তরের চাকরি যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পাওয়া। তার দ্বীপ্তিমান বাস্তব উদহরণ এ অধিদপ্তরের কাবিখা প্রকল্প পরিচালকের পিএ সাঁটলিপিকার কাম-কম্পিউটার অপারেটর আব্দুস সামাদ ভূঁইয়া ।
আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অঢেল সম্পদের মালিক বনে যান এ কর্মচারী। তাঁর স্ত্রী মিরাজুন নুরিয়ার চাচা মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী এর নাম ব্যবহার করে অধিদপ্তরের সবাইকে জিম্মি করে হয়ে উঠেন প্রভাবশালী কর্মচারী। তবে কাউকে তোয়াক্কা না করে ২০১৯- ২০ অর্থবছরে অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক(প্রশাসন) মাহবুব আলম তালুকদার এর আশির্বাদপুষ্ট হয়ে নামে-বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। মাহবুব আলম তালুকদার এর পিএ থাকাকালীন বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। যেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার গল্পের মতো অবৈধ সম্পদ আড়াল করতে স্ত্রীর নামে পত্রিকার ডিক্লারেশন। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিপোর্ট করে অন্যত্র পোস্টিং বা শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ।
আব্দুস সামাদ ভূঁইয়া ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকার ও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সরকারি কর্মচারী হলেও তাঁর চলাচল কাজকর্মে ছিল রাজনৈতিক নেতাদের মতো উদাসীন। তাঁর সম্পদ বৈধ করার লক্ষ্যে স্ত্রীর নামে পত্রিকার ডিক্লারেশন নিয়ে নতুন করে আলোচনার জম্ম দিয়েছেন। পত্রিকার সম্পাদক স্ত্রী মিরাজুন নুরিয়া হলেও এড্রেসবারে আব্দুস সামাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর দেওয়া রয়েছে।সরকারী চাকরি করা সত্ত্বেও ৭ (ক) ধারার বিধান লঙ্ঘন করে দৈনিক পত্রিকার দায়িত্ব পালন করছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সূত্র জানায়,আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের আগে সাবেক পরিচালক (প্রশাসন ) মাহবুব আলম তালুকদার এর আস্থাভাজন হিসেবে অত্যন্ত একরোখা দাপুটে কর্মচারি হিসেবে পরিচিতি তাঁর। তবে দুর্নীতির খবর প্রকাশ পেলে কিশোরগঞ্জে শাস্তিমূলক বদলি করেছিলেন বিগত সরকার। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার সবেক কর্মস্থলে পুনরায় ফিরে আসেন এ অসাধু কর্মচারী আব্দুস সামাদ ভূঁইয়া ।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে , সাম্প্রতিক চলতি দায়িত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কাবিখা প্রকল্পের ডাইরেক্টর বদরুল হক এর পিএ আব্দুস সামাদের ৫৭ লাখ টাকার একটি প্রাইভেটকার রয়েছে। তার স্ত্রী মিরাজুন নুরিয়ার জন্য আরেকটি গাড়ি কিনে ছিল যা ৫ অগাস্ট সরকার পতন হলে গাড়িটি লুকিয়ে রেখেছন। বি আর টিএ অনুসন্ধান করলে জানা যাবে। এছাড়াও মিরাজুন নুরিযার নামে ৫২ লাখ টাকায় মিরপুরে ১০২০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্লাট কিনেছেন। ময়মনসিংহ কেন্দুয়া উপজেলায় নামে-বেনামে ৫০ লাখ টাকার জমি ক্রয় করেছেন।
মোঃ আব্দুল সামাদ ভূঁইয়া এর মোবাইলে ফোন তার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, বেশিরভাগ অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও নিজেকে জমিদার বংশের লোক হিসেবে উপস্থাপন করেন । ওয়ারিশ সূত্রে ৩৩ একর জমির মালিক বলেও জানান ।
তার স্ত্রীর নামে গাড়ি-বাড়ির বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, তার বাবার বাড়ি থেকে সে অনেক কিছু পেয়েছে ।
বেশ দাম্ভিকতার সহিত বলেন সব পত্রিকাতে নিউজ করে দেন ।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন মোঃ রাসেল সাবরিনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন না ধরায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি ।