আব্দুর রাজ্জাক কাজল ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তৎকালীন দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তীকালে শিক্ষার আলো ছড়ানো একজন গুণী ব্যক্তি, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তৎকালীন ডক্টর কুদরত ই খুদা শিক্ষা কমিশনের সদস্য অধ্যক্ষ জনাব হায়দার আলী মিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটা তিরিশ মিনিটে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সি এম এইচ) এ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সে সময় উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার আলো ছড়ানো এই মানুষটি, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রংপুর অঞ্চলের এর সাব-সেক্টর কমান্ডার, কর্মজীবনে যিনি অসংখ্য স্কুল কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা, ডঃ কুদরত ই খুদা শিক্ষা কমিশনের সদস্য, বিভিন্ন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ রংপুর এর সাবেক অধ্যক্ষ, রংপুর কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
কর্ম ও ব্যক্তি জীবনে চলার পথে যিনি একজন মিষ্টভাষী, সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বাবা হিসেবেও যিনি একজন সফল বাবা, তিন কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন। পুত্র ব্যাংকার হিসেবে কর্মরত ছিল, পুত্রবধূ কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক, জামাইদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার সাবেক মেজর জেনারেল ও নাতি মেজর হিসেবে কর্মরত রয়েছে। সর্বোপরি এমন একজন সফল মানুষের বিদায়ে পরিবার আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্খীরা শোকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে।
আজ ১০ নভেম্বর ঢাকা থেকে তার লাশ রংপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর রংপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা শেষে তার সহধর্মিনীর কবরের পাশে সমাহিত করা হবে, তার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী সবাইকে উক্ত জানাজায় অংশগ্রহণ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তার মৃত্যুতে উত্তরাঞ্চল সহ সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছাত্র-শিক্ষক, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সকলের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তারা একজন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ভালো মানুষকে হারিয়ে ফেললেন। দেশ হারালো একজন বিশিষ্ট নাগরিককে।