নিরেন দাস,জয়পুরহাটঃ-
জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন-এমপি রবিবার ১৪ এ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আসন্ন আক্কেলপুর ও কালাই পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌর্কা প্রতীকের আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র প্রার্থী মোঃ শহীদুল আলম চৌধুরী ও কালাই পৌরসভায় রাবেয়া সুলতানা (কাজল) বিপুল ভোট পেয়ে জয়লাভ করাই দুই পৌরসভার জনগণদের কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান এবং অনুষ্ঠিত ভোট অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে কিনা তা প্রমাণ করাতে গবেষণা টিম পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে হুইপ স্বপন সোমবার তার নিজের ফেইসবুক আইডিতে ‘কৃতজ্ঞতা, অভিনন্দন এবং উন্নয়ন-সুশাসন-বিনয়ের ফল’ শিরোনামের একটি লেখা পোস্ট করেছেন যা জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকায় হুবহু তুলে ধরা হলো-গতকাল আমাদের নির্বাচনী এলাকার কালাই ও আক্কেলপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জনাবা রাবেয়া কাজল এবং জনাব শহিদুল আলম চৌধুরীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করায় আমি কালাই ও আক্কেলপুর পৌরসভার সকল জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আপনাদের এই দান আমাদের অনেক ঋণী করে তুলল। এই ঋণ কখোনো শোধ করতে পারব না।
বিজয়ী দুই মেয়রের প্রতি প্রাণঢালা অভিনন্দন। পাশাপাশি গতকাল নির্বাচিত সকল মেয়র ও কাউন্সিলগণের প্রতি অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি।
আমাদের দু’টি পৌরসভার ভোটের নিরপেক্ষতা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং ভোট প্রদানের স্বাধীনতা নিয়ে একজনও নেতিবাচক প্রশ্ন তুলতে পারেন নি। কালাইয়ে নৌকা- ৯,১৭৭, ধানের শীষ- ৮০০ , স্বতন্ত্র – ১১৯, আক্কেলপুরে নৌকা- ৮,২৬৮, ধানের শীষ- ৪,৫৮৬, বিএনপি বিদ্রোহী – ৫৬৩, হাতপাখা- ৮২২, মোবাইল ফোন-৯১১ ভোট পেয়েছেন।
কালাইয়ে নৌকা ও ধানের শীষের ভোটের ব্যবধান নিয়ে আমি চমকে উঠি। জানতাম, ব্যবধানে জয় হবে, তবে এতোটা তা বিশ্বাস হয় নি। ফলাফল শুনেই আমি আওয়ামী লীগের তৃণমূল, সাংবাদিক, প্রশাসন, শিক্ষক, বিএনপি পন্থী ব্যবসায়ী- প্রায় সব সেক্টর থেকে ভোটের নিরপেক্ষতা সম্পর্কে খবর নিলাম। সবাই শতভাগ অবাধ, নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে বলে জানিয়ছেন।
আমি এই এলাকার এমপি, আমিতো ভাল কথা বলবই। আমি বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল, মিডিয়া ও সিভিল সোসাইটি বলে দাবীকারী প্রতিষ্ঠানগুলির নিকট অনুরোধ করছি, আপনারা প্রত্যেকে ছোট একটি গবেষণা টিম পাঠান একদা ধানের শীষের ঘাঁটি খ্যাত জয়পুরহাটের ছোট্ট জনপদ কালাই পৌরসভায়।
অনুগ্রহ করে গবেষণা করুন, গতকালের ভোটটি অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে কি না এবং কিভাবে একদা ধানের শীষের ঘাঁটিতে নৌকা ৮৯.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এখানে কোন অনিয়ম বা প্রার্থী অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেছেন কি না।
ছোট্ট একটি পৌরসভার ভোট। খালি চোখে এটি তেমন কোন গুরুত্ব বহন করে না। আমি শতবার বললেও কোন প্রভাব পড়বে না। কিন্তু আপনারা গবেষণা করে এর নিগূঢ় রহস্য উম্মোচন করে জাতির সামনে উপস্থাপন করলে বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক শিষ্টাচার, রাষ্ট্রে জনগণের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্রের ভীত শক্তিশালী করনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে একজন মেঠো রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি বিশ্বাস করি।
সকলের দেখা উচিত উন্নয়নের পাশাপাশি সুশাসন, ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার দম্ভ প্রদর্শন না করা, বিনয়ী আচরণ, জনগণের অবাধ চলাচল-জীবন যাপন- কর্মের স্বাধীনতা, অপরাপর রাজনৈতিক- সামাজিক শক্তির প্রতি অসম্মান প্রদর্শন না করা, মানব সেবা, প্রার্থীর ব্যক্তিগত ইমেজ একটি জনপদের নির্বাচনে কত বিশাল পরিবর্তন সাধন করতে পারে। এই সংস্কৃতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের প্রিয়ভুমি কালাই ও আক্কেলপুর গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির ক্ষেত্রে উদহারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..