মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখার ক্যাশিয়ার গোপাল চন্দ্ররের বিরুদ্ধে ১ হাজার টাকার জাল নোট সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে গ্রাহকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি প্রদান করে।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের তেজাপাড়া গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে সামছদ্দীন (৬১) অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনষ্টবল। চাকুরির সুবাদে চাকুরিরত অবস্থায় নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর সোনালী ব্যাংক শাখায় তাঁর একটি সঞ্চয়ী হিসাব রয়েছে যার হিসাব নং-৫৩১০৮০১০১৫৬০১। হিসাব নম্বরটি অনলাইন হওয়ায় বদলগাছী সদরের সোনালী ব্যাংক শাখায় তাঁর ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করতে আসলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার গোপাল চন্দ্র তাঁকে ১ হাজার টাকা নোটের একটি ১লক্ষ টাকার ব্যান্ডিল, ৫ শত টাকা নোটের একটি ৫০ হাজার টাকার ব্যান্ডিল ও ১ হাজার টাকার ২০ টি নোট সরবরাহ করেন। টাকা গুলো হাতে নিয়ে গুণতে শুরু করলে ১ হাজার টাকার ব্যান্ডিলে একটি ১ হাজার টাকার জাল নোট পান। সঙ্গে সঙ্গে ক্যাশিয়ারের কাছে জাল নোটটি নিয়ে গেলে ক্যাশিয়ার গোপাল চন্দ্র কোন প্রতিবাদ না করে জাল নোটটি চেঞ্জ করে দেন তাঁকে। ব্যাংকে জাল নোট কেন থাকবে বলে উক্ত ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার ব্যাংকে না থাকায় অন্য অফিসারদেরকে জাল নোটের বিষয়টি অবগত করতে থাকলে ক্যাশিয়ার গোপাল চন্দ্র তার চেয়ার থেকে উঠে এসে শামছদ্দিনের উপড় চড়াও হয়ে তাকে অশ্লিল ভাষায় বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদর্শন করতে থাকেন।
ভুক্তভোগী সামছদ্দীন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বদলগাছী সোনালী ব্যাংক শাখায় আমার ৫৩১০৮০১০১৫৬০১ নম্বর সঞ্চয়ী হিসাব থেকে আমি ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করি। ক্যাশিয়ার গোপাল আমাকে ১ হাজার টাকা নোটের ১ টি ব্যান্ডিল, ৫ শ টাকা নোটের ১ টি ব্যান্ডিল ও ২০ হাজার টাকার ২০ টি ১ হাজার টাকার নোট সরবরাহ করেন। সেই টাকা গুলি গুণতে গিয়ে ১ হাজার টাকার ব্যান্ডিলে একটি জাল নোট দেখতে পাই। সঙ্গে সঙ্গে আমি টাকা নিয়ে ক্যাশিয়ারের কাছে গেলে তিনি জাল নোটটি চেঞ্জ করে দেন।
জাল নোটের বিষয়টি আমি ব্যাংক ম্যানেজারকে অবগত করতে গিয়ে ম্যানেজারকে না পেয়ে ব্যাংকের অন্য অফিসারদের বিষয়টি জানালে ক্যাশিয়ার তাঁর চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ব্যাংক থেকে কিভাবে জাল নোট বের হয়। আমি এর বিচার চাই। প্রতিবাদ করতে গিয়ে কেন আমার সাথে দুর্ব্যবহার করলো। আমি সোনালী ব্যাংকের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে এর বিচার দাবি করছি।
জাল নোট বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার গোপাল চন্দ্ররের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক সহ ঐ গ্রাহকের উপড় চড়াও হন ও বিভিন্ন গালিগালাজ করতে থাকেন।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার এস. এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমি অফিসের কাজে ঢাকায় আছি । বিষয়টি আমি শুনেছি আমি ঢাকা থেকে ফিরে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অপরদিকে, অনেক সরকারি চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও সাধারণ জনতা বলেন, এই ক্যাশিয়ার এখানে যোগদানের পর থেকে সামান্য কিছু হলেই খারাপ আচারন করেন।