মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
নওগাঁয় অপহরণের পর পুলিশ সুপারের মোবাইলে মেসেজ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি সদস্যরা। ওই কিশোরীর বাড়ি জেলার মহাদেবপুর উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নে। এসময় ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পর অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান রকিকে আটক করতে না পারলেও তারা বাবা-মাকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে জেলা ডিবির কার্যালয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পর জিঞ্জাসাবাদে জানা যায় তার এক বান্ধবীর মাধ্যমে অভিযুক্ত রকির সাথে পরিচয় হয় তার। তারপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে রকি বিভিন্ন ছেলেকে ডেকে এনে জিম্মি করতে বললে ওই কিশোরী রাজি হয় না।
ফলে তাদের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এরই এক পর্যায়ে চলতি মাসের ৩ অক্টোবর বিকেলে মেস থেকে বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে বের হলে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার কদমতলী এলাকা থেকে রকি ওই কিশোরীকে অপহরণ সদর উপজেলার গাংজোয়ার তার নিজ বাড়ি নিয়ে যায়।
এরপর তাকে মেরে ফেলা সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে রেখে ৯ দিন ধরে একাধিকবার ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতন চালায়। এরই এক পর্যায়ে গত সোমবার রাতে ওই কিশোরী অপহরণকারী রকির মোবাইল থেকে পুলিশ সুপারের মোবাইল মেসেজ করে তাকে উদ্ধারের কথা জানান।
এরপর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়ার সার্বিক দিক নির্দেশনায় ওই রাতেই কিশোরীকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
এসময় অপহরণকারী রকি পালিয়ে যায়। তবে রকির বাবা মোজাম্মেল হক এবং মা তাছলিমা বেগমকে আটক করা হয়।
১৩ অক্টোবর,বুধবার মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আজম উদ্দীন মাহমুদ জানান,উক্ত ঘটনায় মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
অভিযুক্ত রকিকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।তবে দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..