নড়াইলের লোহাগড়া থানার কচুবাড়িয়া গ্রামে এক সংখ্যালঘু পরিবারের সমির কুমার দত্ত (৫৩) এবং তার স্ত্রী পুতুল রাণী দত্তকে (৩৫) মারধর ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
গতকাল (৩০ জানুয়ারি) রাতে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সমির কুমার দত্তের বোন কবিতা দত্ত।
এর আগে গত (২৭ জানুয়ারি) শনিবার সকালে লোহাগড়া থানার কচুবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই পরিবারের সাথে দীর্ঘধীন ধরে একই থানার মশাঘুনি গ্রামের জামাল ফকির (৩০), আলমগীর (৩৫), মিন্টু ফকির (৪০) এর সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত শনিবার সকালে ভুক্তভোগীদের নিজ বাড়িতে হামলা করে আসামীরা। এসময় ভুক্তভোগী সমির কুমার দত্ত ও তার স্ত্রী পুতুল রাণী দত্তকে লোহার রড, কাঠের ব্যাট ও লোহার হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এরপর মঙ্গলবার রাতে লোহাগড়া থানায় ভুক্তভোগী সমির কুমার দত্তের বোন কবিতা দত্ত বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী কবিতা দত্ত বলেন, আমার ভাই সমির কুমার দত্তের সাথে আসামীদের সাথে দীর্ঘদিন জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে গত শনিবার সকালে আসামীরা আমাদের বাড়িতে আমার ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রীকে লোহার রড, কাঠের ব্যাট ও লোহার হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় ভাইয়ের স্ত্রীর গলায় পরিহিত আটআনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ও বাড়িঘর ভাংচুর করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লোহাগড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.তৌফিক হাসান বুধবার (৩১) জানুয়ারি) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।