ডেস্ক: ভারত থেকে দেশে পেঁয়াজ আসার পথে বাধা যেন কাটছেই না। আগে এলসি করা ও এলসির বিপরীতে গত রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজ শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে দেশে ঢোকার কথা ছিল। শুক্রবারই (১৮ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল ভারতের পক্ষ থেকে। কিন্তু তাতেও বাধা পার হতে পারেনি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বিভিন্ন স্থলবন্দরে আটকে থাকা পেঁয়াজভর্তি কয়েকশ' ট্রাক।
শনিবার দিনভর অপেক্ষার পরও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে খালাস হয়নি একটি ট্রাকের পেঁয়াজও। নতুন করে অনুমতির অপেক্ষায় হিলির ওপাড়ে আটকে আছে দেড়শো ট্রাক। আর ছাড়পত্র না থাকায় সোনামসজিদ স্থলবন্দরের ওপারে থাকা শতাধিক ট্রাক ঢোকা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। তবে, এদিন নানা ধাপে বাধা-বিপত্তি পার করে কয়েকটি বন্দর দিয়ে অল্প সংখ্যক ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বন্দরের কার্যক্রম শুরু হলে আবার এসব ট্রাকের ছাড়পত্র নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে টানা পাঁচদিন আটকে থাকার পর শনিবার দুপুরে অবশেষে বাংলাদেশে ঢোকে নিষেধাজ্ঞার আগেই এলসি করা ভারতীয় পেঁয়াজের ট্রাক। এতে আমদানিকারকদের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের মাঝেও স্বস্তির ছাপ পড়ে। তবে হিলি স্থলবন্দরে মাত্র ১১টি ট্রাক আসার পরই বন্ধ হয়ে যায় এই কার্যক্রম।
ব্যবসায়ীরা জানান, ওপারে এখনো অনুমতির অপেক্ষায় দেড় শতাধিক ট্রাক।
এদিন, বিলম্ব রপ্তানির আদেশ না থাকায় যশোরের বেনাপোলে বন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজের ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকতে পারেনি। এতে, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় আটকে থাকা শতাধিক ট্রাকের পেঁয়াজ নিয়ে নতুন করে শঙ্কায় পড়েন আমদানিকারকরা। দিনের পর দিন আটকে থাকায় পেঁয়াজ পঁচতে শুরু করেছে।
চাপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে শনিবার পেঁয়াজের ট্রাক ঢুকেছে। রোববারও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় আড়াইশ' ট্রাক পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে ঢুকবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অভ্যন্তরীণ চাহিদার বিপরীতে যোগান ঠিক রাখতে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন বন্দর এলাকায় আটকা পড়ে বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় থাকা পেঁয়াজভর্তি শতশত ট্রাক। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে এমন ঘোষণা আসতে না আসতেই অস্থির হয়ে উঠে দেশের বাজার। এক রাতের ব্যবধানে রাজধানী ঢাকার আড়তগুলোতে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে যায় এই নিত্যপণ্যের দাম। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ টাকা দরে। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। অনেক আড়তদার আবার বিক্রিও বন্ধ করে দেন।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy