নতুন রূপ পাচ্ছে চিলমারী নদীবন্দর
রেখা মনি,নিজস্ব প্রতিবেদক
Facebook Twitter share
চিলমারী নদীবন্দরে অবকাঠামো সুবিধাদি নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ জন্য ওই এলাকায় রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাটে নদীবন্দর নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিচ্ছে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ভারতের আসাম এবং নেপাল ও ভূটানের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তনে অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে চিলমারীকে প্রতিষ্ঠা করা যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
Surjodoy.com
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় হতে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় এটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর হতে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বিআইডব্লিউটিএ।
The Daily surjodoy
সূত্র জানায়, চিলমারী বন্দর কুড়িগ্রাম জেলায় ব্রহ্মপুত্র নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত, যা জেলা শহর হতে ৩৫ কিলোমিটার দূরে। এ বন্দরটি একসময় কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয় এবং যাত্রী ও মালামাল পারাপারে অন্যতম প্রধান বন্দর বাজার হিসাবে পরিচিত ছিল। যমুনা নদীর ভাঙন দিনে দিনে এ বন্দরের গুরুত্বকে হ্রাস করেছে। বর্তমানে স্থানীয়ভাবে অসংখ্য যাত্রী এবং মালামাল রৌমারী, রাজীবপুর, কোদালকাঠি, নায়েরহাট, অষ্টমির চর ইত্যাদি এলাকা হতে চিলমারী এলাকায় ওঠানামা করে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিন প্রায় ৫০০/৬০০ যাত্রী এ এলাকা দিয়ে যাতায়াত করে থাকে।
The Daily surjodoy
শুধুমাত্র রৌমারি ও চিলমারীর মধ্যেই প্রতিদিন বৃহদাকার ৮ ও ৯টি জলযান আসা-যাওয়া করে থাকে। চিলমারী এবং রাজিবপুরের মধ্যেও একই রকম সার্ভিস বিদ্যমান রয়েছে। ৬ থেকে ৭টি বৃহদাকার ইঞ্জিন বোট বিভিন্ন স্থানে যেমন, কাওমারি, বড়চর, নয়ারহাট, অষ্টমিরহাটি ইত্যাদি স্থান হতে নিয়মিত চিলমারীতে চলাচল করে।
The Daily surjodoy
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চিলমারী এলাকায় একটি আধুনিক নদী বন্দর স্থাপিত হবে। এই এলাকায় নৌ-পথে যাত্রী পরিবহন এবং মালামালের সুষ্ঠু নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন ওঠানামা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
The Daily surjodoy
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নৌ প্রটোকলে চিলমারী একটি পোর্ট অব সেল হিসাবে চিহ্নিত। এখানে সড়ক, রেল ও নৌপথের সমন্বয়ে ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর উভয় তীরের জনগণের জন্য অন্যতম পরিবহন হাব হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা পরিকল্পনা রয়েছে এই প্রকল্পে।
The Daily surjodoy
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী চিলমারীকে নদী বন্দর হিসাবে ঘোষণা করেন এবং অন্যান্য নদী ও সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে একে সংযুক্ত করার ওপর জোর দেন।