সালেক আহমেদ পলাশ: নরসিংদীর শিবপুরে স্বামী-স্ত্রীর জগড়ায় ৩ জন নিহত এবং ২ জন গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার ভোর ০৫:০০ মিনিটে কুমরাদী গ্রামস্থ জনৈক তাজুল ইসলাম, পিতামৃত- অয়েছ আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া নাজমা(৪৫), পিতা-মন্না, সাং- কুমড়াদী, থানা-শিবপুর, জেলা- নরসিংদী তার দ্বিতীয় স্বামী-বাদল মিস্ত্রি (৫৫) পিতামৃত- ইছহাক মিস্ত্রি, সাং- চর কায়েরী, থানা-পাকুন্দিয়া, জেলা-কিশোরগঞ্জসহ নাজমার প্রথম স্বামীর সন্তান সোহাগ(১৫) সহ তাজুল ইসলামের বাড়ির উত্তর দোয়ারী দোচালা টিনের ঘরে ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘরের ভিতর চিৎকারের শব্দ পেয়ে নাজমার প্রথম স্বামীর অপর সন্তান নাদিম(২১) অন্য ঘর থেকে দোচলা টিনের ঘরের সামনে গিয়ে ঘরের দরজার নিচ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখলে সে দ্রুত উক্ত ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তার মা নাজমা বেগম ও ভাই সোহাগকে রক্তাক্ত গুরুতর জখমপ্রাপ্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাদল মিস্ত্রীকে ধাক্কাধাক্কি করে ঘর হতে বাইরে বের করলে তাদের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি হয়। উক্ত সময় বাড়ির মালিকসহ তার স্ত্রী মনোয়ারা(৪৮), মেয়ে কুলসুম(২২) গন বাদল মিস্ত্রীকে থামানোর চেষ্টা করলে বাদল মিস্ত্রী তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে এলোপাথারীভাবে আঘাত করার ফলে তাজুল ইসলামের হাতে, মনোয়ারার পেটের বাম পার্শ্বে, কুলসুমের পেটে ঘাই মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় দফাদা শীতল থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে হাইওয়ে রোডে টহলরত মাইক-৩ জরুরি ডিউটি পার্টির এসআই শিবলী মীর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাদল মিস্ত্রিকে হেফাজতে নেন এবং আহতদের চিকিৎসার জন্যে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া বাদল মিস্ত্রির স্ত্রী নাজমা ও বাড়িওয়ালার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন এবং আহত তাজুল ইসলামকে ঢাকায় রেফার করলে তিনি পথিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেন, তাজুল ইসলামের মেয়ে কুলসুম ও নাজমার ছেলে সোহাগকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।তাজুলের মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আছে। নাজমা ও মনোয়ারার মৃত দেহ বর্তমানে নরসিংদী সদর হাসপাতালে আছে এবং ঘাতক বাদল মিস্ত্রি শিবপুর থানা পুলিশের প্রহরায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। উক্ত ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা শিবপুর থানা পুলিশ কর্তৃক প্রক্রিয়াধীন আছে। ধৃত আসামীঃ (১) বাদল মিস্ত্রি (৫৫), পিতামৃত- ইছহাক মিস্ত্রি,সাং- চর কায়েরী, থানা-পাকুন্দিয়া,জেলা- কিশোরগঞ্জ। উদ্ধারকৃত আলামতঃ (১) ঘটনায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।