গুরুদাসপুরের নাজিরপুরে বাল্যবিয়ে রেজিষ্ট্রি করার একমাস অতিবাহিত হলেও ভুয়া কাজী আব্দুল করিম শেখের বিরুদ্ধে কোনো প্রদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ৩০ আগস্ট রাতে দুধগাড়ী গ্রামের আমান আলীর ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে হাসির বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেন করিম শেখ আর কলেমা পড়ান বৃন্দারামপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন।
এ ব্যাপারে ৭ অক্টোবর গুরুদাসপুর থানায় বাদী হয়ে করিমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাজিরপুর ইউনিয়নের কাজী মো. আমিনুল ইসলাম ওরফে নজরুল। ভুয়া কাজী করিম শেখ বৃন্দাবনপুর গ্রামের মৃত মর্তুজ শেখের ছোট ছেলে। এর আগে করিম শেখ মুঠোফোনে বলেন, আমি হাসির বিয়ে রেজিষ্ট্রি করিনি। আগে কাজীগিরি করতাম এখন করিনা।
লিখিত অভিযোগে বাদী জানায়, করিম শেখ টাকার লোভে মাঝেমধ্যেই বাল্যবিয়ে রেজিষ্ট্রি করেন অন্তত ১০০টি বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেছেন করিম। এরমধ্যে অধিকাংশই বাল্যবিয়ে। পুলিশ করিমের বাড়িতে গেলেও তাকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়নি।
এ ব্যাপারে থানার এএসআই আব্দুল হান্নান জানান, অভিযুক্ত করিম গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যাচ্ছেনা। অচিরেই তাকে গ্রেপ্তার পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে ভুয়া কাজী করিম প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানায়।