মাহাদী বিন সুলতান রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটির নানিয়ারচরে নানাক্রুম নন্দন কানন বৌদ্ধ বিহারে ৪র্থ বারের মত শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকালে বুদ্ধমূর্তী দান, সীবলী মূর্তি উৎসর্গ, উপগুপ্ত মূর্তি ও মন্দির উৎসর্গ, সঙ্ঘ দান, অষ্ট পরিষ্কার দানসহ এই মহতী পূণ্যানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ইলিপন চাকমা।
এসময় মঞ্চে সঙ্ঘ প্রধান হিসেবে উপবিষ্ট ছিলেন, তক্ষশীলা বন বিহারের অধ্যক্ষ মহামিত্র মহাস্থবির ভান্তে। এসময় বেবুবন অরণ্য কুঠির বন বিহারের অধ্যক্ষ পন্থক স্থবির, চৌদ্দ মাইল বন বিহারের অধ্যক্ষ দীপংকর স্থবির ও নানাক্রুম নন্দন কানন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সোমা নন্দ ভিক্ষুসহ বন ভান্তের শিষ্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইলিপন চাকমা বলেন, এই অঞ্চলে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। পিছিয়ে পড়া এসব মানুষের জীবন মান উন্নয়ন যে কতটা দুঃসহ তা ভাষায় প্রকাশ করা মুশকিল। আমরা বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলি বলে আজো টিকে আছি। ধর্মীয় শিক্ষা ও নীতি মেনে জীবন সাজানো সম্ভব।
এসময় তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ধর্মের প্রতি আন্তরিক। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পাহাড়ের জনমানুষের নেতা দীপংকর তালুকদার (এমপি) মহোদয়ের আন্তরিকতার ফলে আমি এই সম্মানজনক আসনে আসতে পেরেছি। আমি আপনাদের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জননেতা দীপংকর তালুকদার এমপি মহোদয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু লাভে আশির্বাদ কামনা করছি।
পন্থক মহাস্থবির দেশনায় (ধর্মীয় বক্তব্য) বলেন, জগত সংস্যারে যারা ধর্ম মানে না তারা সারাজীবন দুঃখে জীবন যাপন করে। ধর্মচারী ব্যক্তিরা ইহকালে ও পরকালে সুখ শান্তি লাভ করে। ধর্ম পূণ্য ছাড়া কোন বিকল্প নেই। মানব জীবনে সুখী হতে চাইলে সকলকে ধর্ম পূণ্যে ধাবিত হতে হবে।
নোবেল চাকমা ও অনামিকা চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুনিতি বিকাশ চাকমা, সাধারণ সম্পাদক লিটন চাকমা, সহ-সভাপতি মারতি চাকমাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও হাজারো পূর্ণার্থীবৃন্দ।