ময়মনসিংহের নান্দাইলে তারঘাট আনছারীয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ সম্পত্তি এওয়াজ বিনিময় দলিল সম্পন্ন না করেই অন্যের জায়গায় মাদ্রাসার ৪তলা ভবন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে গত ২৫ এপ্রিল ২০২১ নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এক
লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, উপজেলার আগমুশুলী গ্রামের মাজহারুল ইসলাম রাজন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তারঘাট আনছারীয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার নতুন ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের স্থান সংকুলান না হওয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আগমুশুলী গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নানের তিন ছেলে মাজহারুল ইসলাম রাজন, খোকন মিয়া এবং সুজন মিয়ার
নিকট থেকে আলোচনার মাধ্যমে মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশের দেড় শতক জায়গা দাগ নং সাবেক-২১৮৪,বর্তমান দাগ নং-৪৭৩৮ ওয়াকফ এষ্টেটের বিধি অনুযায়ী এওয়াজ বিনিময় হয়। এবং মাদ্রাসার খণ্ডিত ভূমি দাগ নং সাবেক- ২১৮৫,বর্তমান দাগ নং-৪৭৩৫,খতিয়ান সাবেক-৩৭০,হাল-১৬,(০.৫) আধা শতাংশ করে দেড় শতক জায়গা তিন ভাইকে প্রদান করা হবে।
এই মর্মে বিগত ১২ আগষ্ট ২০ খ্রিষ্টাব্দে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ গভর্নিং বডির সভায় একটি রেজুলিউশন করেন।
কিন্তু পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ অভিযোগকারী মাজহারুল ইসলাম রাজনের সাথে কোন
যোগাযোগ না করে তার অপর দুই ভাই খোকন মিয়া এবং সুজন মিয়ার সাথে যোগসাজশে মাধ্যমে বন্টন নামা দলিল রেজিস্ট্রি ব্যাতিত তাদের জায়গার নিয়ম বহির্ভূত ভাবে দখল দারিত্ব নিয়ে নেয়।
এতে অভিযোগকারী মাজহারুল ইসলাম রাজন আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন,মর্মে তার জায়গার
চুড়ান্ত সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে তিনি বলেন,লকডাউনের জন্যে আদালতে আপাতত মামলা হচ্ছে না।
লক ডাউন শেষ হলেই আমি আদালতের মাধ্যমে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারঘাট আনছারীয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম বলেন, ওয়াকফ এষ্টেটের সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া বিনিময় সম্ভব নয়। মাদ্রাসার সভায় রেজুলিউশন এখনো অনুমোদন হয়নি।
প্রয়োজনে অভিযোগকারী মাজহারুল ইসলাম রাজনের জায়গা মাদ্রাসা নিবে না। তার অপর দুই ভাইয়ের সম্মতিতে তাদের জাযগায় মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ করবে কর্তৃপক্ষ। এতে রাজনের কোন আপত্তি থাকার কথা নয়।
নির্মাণাধীন মাদ্রাসা ভবন,