তৌহিদুল ইসলাম সরকার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহ নান্দাইল উপজেলায় মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকার করতে চাইলে নেইল কাটার দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের লিঙ্গ কেটে দিয়েছে নির্যাতিত ছাত্র।
১ ডিসেম্বর (বুধবার) রাতে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নে টাওয়াইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উপজেলার বেতাগৈর ইউনিয়নের পলাশিয়া গ্রামের মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন, আতাবুর রহমান।
বুধবার রাতে খারুয়া ইউনিয়নের টাওয়াইল গ্রামে একটি মাদ্রাসার মাঠে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। সে ওয়াজ মাহফিলে অংশ নেন আতাউর রহমান।
একই মাদ্রাসার বর্তমানে অধ্যায়নরত শিক্ষকের সাবেক ছাত্র, শরিফুল ইসলাম (১৫) ওয়াজ শুনতে যান।
মাহফিল চলাকালেই পূর্ব পরিচিত ছাত্রকে নিয়ে নিজের বাড়িতে খেতে যান শিক্ষক। মাদ্রাসার ওই ছাত্র জানান দাওয়াত রক্ষার জন্য সে তার শিক্ষকের সঙ্গে বাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শিক্ষক আতাবুর রহমান তাকে (ছাত্র) বলে কাছে টেনে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিতে থাকেন।
এক পর্যায়ে সে বাধা দিলে শিক্ষক তাকে জোরপূর্বক বলাৎকারে উদ্যত হন। ওই সময় ছাত্র তার পাঞ্জাবির পকেটে তাকা নেইল কাটার বের করে শিক্ষকের বিশেষ অঙ্গে আঘাত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে যেতে থাকেন এ ছাএ।
শিক্ষক তখন রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করলে লোকজন ছুটে এসে ছাত্রকে ধরে ফেলে। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ এসে ছাত্রকে থানায় নিয়ে যায়।
বর্তমানে মাদ্রাসার সেই লম্পট শিক্ষক ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান আকন্দের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
উপ-পরিদর্শক এসআই বাবলুর রহমান বাবলু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।