নারী বাবুর্চিকে গরম তেল ঢেলে শরীর ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ- শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস
Facebook Twitter share
বগুড়ার শিবগঞ্জে হোটেলে পচা ও বাসি খাবার মিশিয়ে রান্না না করায় জয়পুরহাটের জোবেদা বেগম (৫৭) নামে এক নারী বাবুর্চির শরীরে ফুটন্ত তেল ঢেলে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হোটেল মালিক ও দুইজন বাবুর্চির বিরুদ্ধে। গরম তেলে নারী বাবুর্চি জোবেদার শরীরের পিঠ ও নিচের অংশের অনেকটুকু ঝলসে গেছে বলে জানা গেছে।
Surjodoy.com
ঝলসিত নারী বাবুর্চি জোবেদা বেগম জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার মাত্রাই গ্রামের জহুরুল মন্ডলের স্ত্রী।
গত মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে উপজেলার চন্ডিহারা এলাকায় মিতু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। নারী বাবুর্চি জোবেদা বর্তমানে বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
The Daily surjodoy
এ ঘটনায় জোবেদার মেয়ে লাজনী বেগম গত বুধবার (২ জুন) শিবগঞ্জ থানায় বাবুর্চি মন্টু মিয়া@কালু, হোটেল মালিক চন্ডিহারা পলিপাড়ার মৃত. আব্দুস সামাদের ছেলে ফারুক হোসেন ও অপর বাবুর্চি একই এলাকার খোকা মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পরেই পুলিশ বুধবার রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি বাবুর্চি মন্টু মিয়া@কালুকে (৩৫) কে আটক করে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে সোপর্দ করা হয়েছে।
The Daily surjodoy
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, জোবেদা বেগম জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই গ্রামের জহুরুল মন্ডলের স্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিবগঞ্জের চন্ডিহারা এলাকায় ফারুক হোসেনের মিতু হোটেলে বাবুর্চির কাজ করেন। গত ১ জুন সকালে মালিক ফারুক হোসেন রাতের থেকে যাওয়া বাসি খাবার গুলো মিশিয়ে সকালে রান্না করতে বলেন। এতে নারী বাবুর্চি জোবেদা বেগম অস্বীকৃতি জানান। এতপর মালিক ফারুক হোসেন ক্ষুব্ধ হন। এক পর্যায়ে তার নির্দেশে অপর বাবুর্চি বগুড়ার নন্দীগ্রামের মাটিহাঁস গ্রামের মৃত ছাবের আলীর ছেলে মন্টু মিয়া@কালু বাবুর্চি জোবেদা বেগমের শরীরে কড়াইয়ের ফুটন্ত তেল ঢেলে দেন। এতে তার পিঠ ও শরীরের নিচের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। এমন অবস্থায় জোবেদার চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মামলার তদন্তকারী অফিসার শিবগঞ্জ থানার উপ- পরিদর্শক (এসআই) বিরঙ্গ চন্দ্র মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত দৈনিক সূর্যোদয়কে জানান, হোটেল মালিক ও দুই বাবুর্চির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামি বাবুর্চি কালুকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশি তৎপরতা চলমান রয়েছে।
Leave a Reply