শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুলে আয়া পদে চাকুরী দেওয়ার নামে ঘুষ বানিজ্যের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে এক মহিলা প্রার্থী। অভিযোগের কারনে অধিকতর তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস পরিক্ষা স্থগিত করেছে।
অভিযোগকারী, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও মাধ্যমিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নয়াবিল উচ্চ বিদ্যালয়ে শূন্য পদে এক হাজার টাকা পোষ্টাল অর্ডারে আয়া হিসাবে দরখাস্ত করে কয়েকজন। এরমধ্যে নয়াবিল গ্রামের সাইফুলের স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন নামে এক পরিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষক বরাবরে দরখাস্ত করে। দরখাস্তকারী সাবিনা বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ বেলায়েত হোসেন খসরু ও প্রধান শিক্ষক আঃ লতিফ এর সাথে চাকুরী বিষয়ে কথা বললে তারা বলেন বিদ্যালয়ের নামে তাদের কে ডোনেশন করতে হবে। সেটার পরিমান ৬লক্ষ টাকা। এই টাকা না দিলে চাকুরী হবে না। পরে আমি তড়িঘড়ি করে দুই দিনের মধ্যে আমার স্বামীর ১০ কাঠা জমি বিক্রি করে প্রথমে সাড়ে ৪লাখ টাকা ও মানুষের কাছ থেকে সুধের উপরে ধার দেনা করে আরো দেড় লক্ষ টাকা মোট ৬লাখ টাকা আমি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ বেলায়েত হোসেন খসরু কথায় আরেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শওকত হোসেন কে সাথে নিয়ে দুই ধাপে প্রধান শিক্ষক আঃ লতিফ এর নিকট চাকুরী দিবে শর্তে বুঝিয়ে দেই। পরে ১ম পরিক্ষার তারিখ হয় ১৬ জুন। আমাকে পত্র দিয়ে উক্ত তারিখে অংশ গ্রহন করার জন্য জানায়। আমি ওই তারিখে পরিক্ষা দেওয়ার জন্য গেলে তারা বলে ঐ তারিখে পরিক্ষা হবে না। পরবর্তীতে আবার বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ২৯ জুন পরিক্ষার জন্য পত্র ছাড়ে। কিন্তু আমাকে সেই পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করার জন্য জানানো হয়নি। আমি বিষয়টি সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে জানালে তারা নানা অজুহাতে তোমার চাকুরী হবে না সিন্ধান্ত জানিয়ে দেয়। পরে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি সেই টাকা তাদের দিয়েছি টাকা ফেরত চাই ও আমার চাকুরী চাই বললে পরে তারা আমার প্রতি রাগান্তিত হয়ে আমার সাথে খারাপ আচরন করে এবং বলে তোমার চাকুরী কোন দিন এই প্রতিষ্ঠানে হবে না। পরে তারা আমার টাকা ফেরত দেয় এবং জানা মতে, আরেক প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ৮ লক্ষ টাকা চুক্তি করে চাকুরী পত্র ছেড়ে দিয়ে সিন্ধান্ত গ্রহন করে। এবস্থায় আমার স্বামীর ১২ লক্ষ টাকার জমি ৬লাখ দরে বিক্রি করেছি। অন্যদিকে সভাপতি প্রকাশ্যে সবার সামনে নয়াবিল মসজিদে এশার নামাজের পরে আমার স্বামী সাইফুলকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, সাইফুল তোর সামান্য আয়া পদের চাকুরী এটা আমি তোর জন্য তোর বউকে দিয়ে দিলাম। এখন আমার সব কিছু তছনছ করে দিয়ে যে ক্ষতিগ্রস্থ অবস্থায় আমাকে ফেলেছে এবং এই নিয়োগ বানিজ্য বন্ধসহ নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিত চেয়ে আমি উর্দ্ধতন মহলের কাছে আবেদন করেছি।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy