ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নে নিজের সিএনজি অটো রিকশা নিজেই বিক্রি করে সৌদি আরব চলে যান মোরশেদ। বিদেশ যাওয়ার পূর্বে তার সিএনজি অটো রিকশাটি চুরি হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে একি এলাকার দ্বীন ইসলামেকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। দীর্ঘ এক
বছরের বেশী সময় ধরে দ্বীন ইসলাম মিথ্যা অপবাদের গ্লানি নিয়ে বেশ কয়েকদিন কারাভোগ করেছেন ও প্রতিনিয়ত লোক সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন।
ঘটনার এক বছর পর ঘটনাচক্রে বেরিয়ে আসে সিএনজি অটো রিকশা চুরির ঘটনাটি মোরশেদের সাজানো নাটক। মূলত তিনি নিজের সিএনজি অটোরিকশা নিজে বিক্রি করে দ্বীন ইসলামকে ফাঁসিয়ে বিদেশে পাড়ি জমান।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার মেহারী ইউনিয়নের সিমরাইল ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত জব্বার মিয়ার ছেলে মোরশেদের নেতৃত্বে ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীরের ক্ষমতার অতব্যবহার করতে থাকে দীর্ঘদিন ধরে। মোরশেদ ও জাহাঙ্গীর মেম্বারের নানা অপকর্মে যখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে স্থানীয় জনগণ ঠিক তখন তাদের নানান অপকর্মের বিষয় সমাজে তুলে ধরেন দ্বীন ইসলাম। পরবর্তীতে মোরশেদ ও জাহাঙ্গীর মেম্বারের ক্ষিপ্ত হয়ে অপেক্ষায় থাকেন দ্বীন ইসলামকে কিভাবে ফাঁসানো যায় সেই চিন্তায়। চক মোতাবেক ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম দ্বীন ইসলামকে বাড়িতে মিথ্যা সংবাদ দিয়ে নিয়ে রুমের ভিতর বন্দি করে অমানুষিক নির্যাতন করে একবছর পূর্বে । সেই সাথে দ্বীন ইসলামকে চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে তাঁরা। দ্বীন ইসলামের উপর আনিত মিথ্যা মামলার একবছরেও কোন প্রমাণ না মিললেও পদে পদে হেনস্থার শিকার হয়েছেন দ্বীন ইসলাম।
উল্লেখ্য সেই সময় দ্বীন ইসলামকে চুরির ঘটনায় ফাঁসানোর সাথে জড়িত ছিলেন মিতু মুতালিমের ছেলে আক্তার মিয়া, শহীদ মিয়া, আলি আজমের ছেলে আলী মোস্তফা, মৃত জব্বার মিয়ার ছেলে কুদ্দুস মিয়া ও ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীর মিয়া।
সম্প্রতিক সময়ে ঘটনার এক বছর পর বেরিয়ে আসে সেই দিনের মূল ঘটনা। মূলত মোরশেদ ও মেম্বারের যোগসাজশে সেইদিন প্রতিবাদি যুবক দ্বীন ইসলামের উপর প্রতিশোধ নিতে মোরশেদ নিজের সিএনজি অটোরিকশা নিজে বিক্রি করে চুরির অপবাদ দিয়েছেন দ্বীন ইসলামের উপর। এরপর মোরশেদ সৈদি আরব চলে যান।
এদিকে সম্প্রতি ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীরের সাথে মুঠোফোনের দ্বীন ইসলাম কথা বলে জানতে পারেন আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য। দ্বীন ইসলাম জাহাঙ্গীর মেম্বারকে মুঠোফোনে তার বিরুদ্ধে আনিত সাজানো নাটকের কোন প্রমাণ তাদের কাছে আছে কিনা জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর মেম্বার বলেন পূর্বেও আমরা চুরির ঘটনার বাস্তব প্রমাণ পায়নি এখনো কোন প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।
অনুসন্ধানে দেখা যায় পূর্ব তার শত্রুতার জেরে মোরশেদ দ্বীন ইসলামকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন যাতে পরোক্ষ ভূমিকা রাখেন জাহাঙ্গীর মেম্বার।
এইদিকে দীর্ঘ এক বছরেরও দ্বীন ইসলামের উপর আনিত চুরি মামলার কোন সত্যতা না মেলেনি।