তাজ চৌধুরী দিনাজপুর ব্যুরো
দিনাজপুর এর খানসামা উপজেলার জোয়ার গ্রামের এঘটনা ঘটেছে। ১৯৩৭ সালের বিধবা আইনে পুত্র সন্তান না থাকলে কণ্যা সন্তান তার বাবার সম্পত্তির মালিক হতে পারেনা। একই ভাবে স্ত্রী তার স্বামীর সম্পত্তির মালিক হতে পারবেনা। এমনি আইনি জটিলতার জাতাকলে স্বামীর সংসার থেকে বিতারিত করেছেন ভাসুর দিজেন্দ্র নাথ রায়। বিধবা ছোট ভাইয়ের বউ জোয়ার গ্রামের মৃত হরিপদ রায়ের স্ত্রী গিরি বালা রায়। স্বামীর মৃত্যুর পরে তাকে ২০১৮ সালের শেষের দিকে তার সোনার সংসার ও স্বামীর জমাজমি সব কিছু থেকে বের করে দেন ভাসুর। হতভাগীনি অনেক বড় সংসারের মালিক ছিলেন। আজকে সে মেয়ে জামাইয়ের বাড়ীতে আশ্রিতা, তার দুখের কথা শুনার মত নেই কেউ।
১৯৩৭ সালের ব্রিটিশ আইন সংশোধন করেছেন বাংলাদেশ সরকার তা জরুরী ভাবে বলবৎ হওয়া খুবই জরুরী দরকার। যাতে আর কোন বিধবারা অপমানিত, লাঞ্চিত ও অবহেলিত জীবন যাপন বা কাউকে আত্নহত্যার পথে যেতে না হয়। এমনটি বলেন গিরি বালার জামাতা হাজী নগর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সচিন্দ্র নাথ রায়, তিনি আরো বলেন আমার শাশুরীর পক্ষ থেকে সরকার এর কাছে আমার নিবেদন উক্ত আইনটি বলবৎ করার জন্য অনুরোধ করছি।
একই ভাবে গিরি বালা রায় এর মেয়ে ও রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ববিতা রানী রায় বলেন, বর্তমানে হাইকোর্টের রায় এক বিধবাকে সুবিচার পাইয়ে দিয়েছেন। যা নতুন করে সুবিধা বঞ্চিত হিন্দু নারীরা আশার আলো দেখছেন। আমার মা সহ আমরাও হিন্দু বিধবা সংশোধনি আইনের সুফল পেতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনজর সহ আইনি সু’বিচার প্রার্থনা করছি।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..