এজাজ রহমান:
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির ঘটনা নতুন নয়। তবু করোনা মহামারীতে আশা ছিল মানুষের পাশে সবাই দাঁড়াবে। কিন্তু এ দুর্যোগেও স্বাস্থ্য খাতে ত্রিমুখী আঁতাতে চলছে দুর্নীতি। সিন্ডিকেট করে চলছে দুর্নীতি। এই দুর্নীতিবাজদের একজনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলেও এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। স্বাস্থ্যসহ অন্য খাতের দুর্নীতি বাজদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জোরালো বক্তব্যের কারণে আশার সঞ্চার হয়েছিল। স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত বাজেট কোনোদিনই ছিল না। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় স্বাস্থ্য খাতে আমাদের বাজেট অনেক কম। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বাজেট বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতিবাজরা এর মধ্যে থেকেও সুবিধা নিচ্ছে। এন৯৫ মাস্ক নিয়ে দুর্নীতিতে জড়িত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই সুবিধাভোগীরা বহুমুখী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরকে নিজেদের সম্পত্তি বলে মনে করে। ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, স্বাস্থ্য খাতে ত্রিমুখী আঁতাতের মাধ্যমে দুর্নীতি চলছে। এর এক অংশে আছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এদের সঙ্গে আছে স্বাস্থ্য-সংশ্লিষ্ট আমলা, যারা এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়। শেষ ধাপে আছে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এমন ব্যক্তিরা। এভাবে প্রতিনিয়ত চলছে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি।