তৌহিদা খাতুন মীর নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বয়স বাড়িয়ে সভাপতির পুত্রবধুকে সরকারিকৃত স্কুলে নিয়োগ দেয়ার ঘটনা তদন্তে সত্য প্রমাণিত হওয়ায় বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার এ মামলাটি দায়ের করেছেন। বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেলে সরকারি কর্মচারি শৃঙলা ২০১৮ অনুয়ায়ি অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষিকা শিল্পী আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
শিল্পী আক্তার জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের সরকারিকৃত চেংমারী ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে জলঢাকা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা শিল্পী আক্তারের উপস্থিতিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন ৩ সদস্যেরে একটি তদন্ত টিম।
এ সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। শিল্পী আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন,‘‘তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি বিধি অনুযায়ি মামলা দায়ের করেছি।’’
উল্লেখ্য,‘৫ মাস বয়স বাড়িয়ে সভাপতির পুত্রবধুকে সরকারিকৃত স্কুলে নিয়োগ’শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
তদন্ত শেষে টিমের প্রধান সমন্বয়ক জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রেজওয়ানুল হক বয়স বাড়িয়ে সভাপতির পুত্রবধুকে স্কুলে নিয়োগের সত্যতা পান।
আরও পড়ুন : ৫ মাস বয়স বাড়িয়ে সভাপতির পুত্রবধুকে সরকারিকৃত স্কুলে নিয়োগ
বয়স বাড়িয়ে সভাপতির পুত্রবধুকে সরকারিকৃত স্কুলে নিয়োগের সত্যতা মিলেছে
সভাপতি আবু ছালেক বয়স কম থাকা অবস্থায় তার পুত্রবধুকে নিয়োগ ও পরবর্তীতে কমিটির কোন রেজুলেশন ছাড়াই তার পুত্রবধু শিল্পী আক্তারকে পুর্ণ নিয়োগ দেয়ারও সত্যতা পেয়েছিলেন। তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্য ছিলেন,
ডিমলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় ও নীলফামারী সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আতাউল গণি ওসমানী।
Surjodoy.com